সৈয়দপুরে উদ্ধুদ্ধকরণের মাধ্যমে রোপা আমন ফসলে পোকা নিয়ন্ত্রণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পার্চিং উৎসব
https://www.obolokon24.com/2018/08/saidpur_10.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রোপা আমন ফসলে পোকা নিয়ন্ত্রণে পার্চিং উৎসব হয়েছে। আজ(শুক্রবার) বিকেলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সৈয়দপুর উপজেলার ১ নম্বর কামারপুকুর ইউনিয়নের কামারপুকুর কৃষি ব্লকের পাকাতিপাড়ায় ওই পার্চিং উৎসবের আয়োজন করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পার্চিং উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহ্ আলম।
উৎসব উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি ডিজি কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আগে রোপা আমন ধানের চারা পর পরই পোকা মাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে কৃষকরা রাসায়নিক কীটনাশক কিনে ক্ষেতে প্রয়োগ করতেন। এতে কৃষকরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হতেন। এতে জমির উর্বরা শক্তিও নষ্ট হতো। কিন্তু এখন আমন লাগানোর পর পরই পার্চিং করছেন কৃষকরা। মূলতঃ দুই ধরনের পার্চিং করা হয়। একটি জীবন্ত ধঞ্চে গাছ লাগিয়ে পার্চিং। অপরটি গাছের ডাল লাগিয়ে পার্চিং। তবে বাঁশ ঝাড়ের কঞ্চি হচ্ছে উৎকৃষ্ট পার্চিং। কৃষকদের এ পদ্ধতি প্রয়োগে উদ্ধুদ্ধ করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা দিনরাত কাজ করছেন। ফলে কৃষকরা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠেছেন। তারা এখন কীটনাশকের পরিবর্তনে রোপা-আমন চারা লাগানোর পর পরই ক্ষেতে পার্চিং করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পাখির মাধ্যমে ক্ষেতের পোকামাকড় দমনে দুই ধরনের পার্চিং রয়েছে। একটি গাছ লাগিয়ে( লাইভ পার্চিং) এবং অপরটি ডাল পুঁতে (ডেড পার্চিং)। সৈয়দপুরে পরীক্ষামূলকভাবে এ দুই পদ্ধতিই কৃষকরা প্রয়োগ করছেন।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ মো. আবুল কাশেম আযাদ, সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা. হোমায়রা মন্ডল হিমুসহ কৃষি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।