মন্ত্রীসভায় সড়ক আইনের খসড়া অনুমোদন

বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ডের বিধান ছিলো এখন সেই সাজা ২ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন সড়ক আইনের খসড়ার এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভেটিং করে আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় তোলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। গত কয়েকদিনের টানা আন্দোলনের মাঝেই এ আইন সংক্রান্ত ফাইলে সই করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর আইনের চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়নে বাকি কার্যক্রম শেষ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। তিনি জানান, নতুন আইনে বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ গুরুতর আহত বা নিহত হলে মামলা হবে দণ্ডবিধির ৩০৪ (খ) ধারায়। এই ধারায় সাজা সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

তবে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তদন্তে হত্যা প্রমাণ ফৌজদারি আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর হবে।

আইনের ধারা ৬ (এ) বলা হয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য বয়স হতে হবে ১৮ বছর। পেশাদার হলে বয়স হতে হবে ২১ বছর। এছাড়া লাইসেন্সধারী হতে চাইলে ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।

আইনের ১১ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, একজন চালকের লাইসেন্সের বিপরীতে ১২টি পয়েন্ট থাকবে। একবার অপরাধ করলে একটি করে পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শূন্য হলে তার লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।

১২ ধারায় বলা আছে, লাইসেন্সধারী কোনও ব্যক্তি শারীরিকভঅবে অক্ষম, অপ্রকৃতিস্থ, মদ্যপ হলে তার লাইসেন্স প্রত্যাহার-স্থগিত করা যাবে।

নতুন আইনে যানবাহনের চালক, হেলপারসহ পরিবহন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা হবে। এটি গেজেট বা প্রজ্ঞাপনে নেই। শ্রম আইন ২০০৬ এর সঙ্গে মিল করে কর্মঘণ্টা সরকার ঠিক করবে।

আইনের নতুন ধারায় মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সংখ্যা, সীমানা নির্ধারণ, মোটরযানের ইকোনোমিক লাইফ, গতিসীমা, শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া দুর্ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সহায়তা তহবিলের বিষয়টি আইনে যোগ করা হয়েছে। লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানোসহ নানা অপরাধে এই আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু বা ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ থাকলে তার বিচার ফৌজদারি আইনেই হবে।

১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ সংশোধন, পরিমার্জন ও সংশোধন করে একটি আইন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০১৩ সালে। এরপর গত বছরের ২৭ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে কিছু পর্যবেক্ষণসহ আইনটি নীতিগত অনুমোদন পায়।

আইনে মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহন আইনটি মতামতের জন্য পাঠালে তারা অপরাধ ও দণ্ডের বিধান পর্যালোচনা করে খসড়া আইনটি সংযোজন ও পরিমার্জনের জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে।

ওই কমিটির প্রতিবেদন হুবহু রেখে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। আইনটি এখন সংসদে পাস হবে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 2172530701034529855

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item