নীলফামারীতে পাচারকালে ভিজিএফের ২৪৬ বস্তা চাল আটক

বিশেষ প্রতিনিধি ১০ আগষ্ট॥
রাতের আধারে পাচারকালে ভিজিএফের ২৪৬ বস্তা চাল আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ আগষ্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নীলফামারী ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী বাজার এলাকায় একটি ট্রাক্টরের ট্রলিতে ওই চাল পাচারকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা ধাওয়া করে  তা আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় ট্রাক্টরের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ট্রাক্টরের ট্রলি সহ ওই সব চাল জব্দ করে ডোমার থানায় নিয়ে যায়। চাল গুলো জেলার জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী জানায় ওই ইউনিয়নের আরো ৩০০ বস্তা চাল ওই রাতে সোলেমানের চৌপথী দিয়ে পাচার করা হয়েছে। যা আটকের জন্য লোকজন ধাওয়া করলে তা আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ভিজিএফের চাল পাচারের ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃস্টি করায় আজ শুক্রবার (১০ আগষ্ট) সকালে জলঢাকা উপজেলা প্রশাসন তদন্তে নেমেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদ মিয়া সহ অন্যান্যরা ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তদন্ত করতে দেখা যায়।
এসময় সেখানে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সহ শতশত মানুষজন ভিড় করে ধর্মপাল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জামিয়ার রহমানকে চাল পাচারকারী হিসাবে আখ্যায়িত করে তাকে গ্রেফতার সহ বিচার দাবি করেছে।

জানা যায় পাচারকালে আটককৃত ২৪৬ বস্তা চাল প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে ছিল। এতে চালের পরিমান দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৩৮ মেট্রিকটন। যার বাজার মূল্য দুই লাখ ৮৯ হাজার ২৯৬ টাকা।
সুত্র মতে সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী আওতায় কোরবানী ঈদকে সামনে ভিজিএফ কার্ডধারীরা এবার ১০ কেজির পরিবর্তে ২০ কেজি করে চাল পাবে । নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলার ৬০ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভায় ভিজিএফের চাল বিতরনে ৪ লাখ ৪ হাজার ৩১৫ কার্ডধারী পরিবারের জন্য  ৮ হাজার ৮৬ দশমিক ৩০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়।
এরমধ্যে ধর্মপাল ইউনিয়নের জন্য ৬ হাজার ৩৭৫ কার্ডের বিপরিতে ১২৭ দশমিক ৫০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। বুধবার (৮ আগষ্ট) ও বৃহস্পতিবার (৯ আগষ্ট) দুই দিনে ইউপি চেয়ারম্যান ওই চাল জলঢাকা খাদ্যগুদাম হতে উত্তোলন করেন।
এ ব্যাপারে ধর্মপাল ইউপি চেয়ারম্যান জামিয়ার রহমান বলেন তিনি চাল পাচার করেননি। বৃহস্পতিবার (৯ আগষ্ট) তিনি ১ হাজার ৪৭৫ কার্ডের বিপরিতে চাল বিতরন করেন ২৯ দশমিক ৫ মেট্রিকটন।

তবে ইউপি চেয়ারম্যানের এই কথার প্রতিবাদ করে এলাকাবাসী জানায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ আগষ্ট) ইউপি চেয়ারম্যান বিকালে মাত্র ৩০ পরিবারের মাঝে চাল বিতরন করেছিল। উপস্থিত ছিলেন না ট্যাক কর্মকর্তা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ডোমারে চাল আটকের খবরে গভীর রাতে চেয়ারম্যান বাহির হতে খোলা বস্তা সংগ্রহ করে ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে নিয়ে এসে রাখে। যা চাল বিতরনের প্রমান দেখানোর চেষ্টা করছেন ইউপি চেয়ারম্যান। এলাকাবাসী ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান জানান ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে প্রমানিত হলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5761468281777500384

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item