পার্বতীপুরের মেধাবী ছাত্রী মোর্শেদার স্বপ্ন পুরণে বড় বাধা দারিদ্রতা
https://www.obolokon24.com/2018/08/dinajpur_38.html
এম এ আলম বাবলু, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
শেষ পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষার দারপ্রান্ত থেকেই হয়তো ফিরে আসতে হবে পার্বতীপুরের মেধাবী ছাত্রী মোর্শেদা খাতুনকে। নিজ কুঁড়ে ঘরে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে এ শংকার কথা জানাচ্ছিলেন তার বাবা মোফাজ্জল হোসেন (৬০)। এসময় তার গাল বেয়ে অশ্রু ঝরতে দেখা যায়। তিনি জানালেন, ৬ শতক বাস্তুভিটে ছাড়া আমার কোন সম্পত্তি নেই। কষ্টের সংসারে বহুবার তার পড়া-শুনা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর মেয়ের কান্নাকাটির কারনে বাধ্য হয়ে এখনো তার পড়া-শুনা চালু রেখেছি। তার ইচ্ছা পুরণ করতে গিয়ে এবার বাড়ীর একমাত্র পোষা গরু বিক্রি করে ১০ হাজার টাকায় তাকে রংপুরে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে দিয়েছি। উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের খোঁড়াখাই ঘাটপাড়ার দিনমজুর পিতার একমাত্র মেয়ে মোর্শেদা খাতুন (১৫)। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মোর্শেদা খাতুন সবার ছোট। অভাব অনটনের কারনে বড় দুই ভাই মিলন (৩০) ও এজামুল (২২) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরুতে পারেনি। কিন্তু শিশুকাল থেকে অদম্য ইচ্ছা ও আন্তরিক চেষ্টায় মোর্শেদা সাফল্যের সাথে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ধাপ পেরিয়ে এখন ডাক্তার কিংবা প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তার স্বপ্ন পুরণের পথে বড় বাধা এখন দারিদ্রতা। মোর্শেদা পড়া-শুনায় খুবই মনোযোগি। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনি পরীক্ষায় সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে। এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে সে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে স্থানীয় রোস্তমনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে সে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করে। মোর্শেদা খাতুন (১৫) বলেন, আমি ডাক্তার কিংবা প্রকৌশলী হতে চাই। এজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি।
শেষ পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষার দারপ্রান্ত থেকেই হয়তো ফিরে আসতে হবে পার্বতীপুরের মেধাবী ছাত্রী মোর্শেদা খাতুনকে। নিজ কুঁড়ে ঘরে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে এ শংকার কথা জানাচ্ছিলেন তার বাবা মোফাজ্জল হোসেন (৬০)। এসময় তার গাল বেয়ে অশ্রু ঝরতে দেখা যায়। তিনি জানালেন, ৬ শতক বাস্তুভিটে ছাড়া আমার কোন সম্পত্তি নেই। কষ্টের সংসারে বহুবার তার পড়া-শুনা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর মেয়ের কান্নাকাটির কারনে বাধ্য হয়ে এখনো তার পড়া-শুনা চালু রেখেছি। তার ইচ্ছা পুরণ করতে গিয়ে এবার বাড়ীর একমাত্র পোষা গরু বিক্রি করে ১০ হাজার টাকায় তাকে রংপুরে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে দিয়েছি। উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের খোঁড়াখাই ঘাটপাড়ার দিনমজুর পিতার একমাত্র মেয়ে মোর্শেদা খাতুন (১৫)। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মোর্শেদা খাতুন সবার ছোট। অভাব অনটনের কারনে বড় দুই ভাই মিলন (৩০) ও এজামুল (২২) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরুতে পারেনি। কিন্তু শিশুকাল থেকে অদম্য ইচ্ছা ও আন্তরিক চেষ্টায় মোর্শেদা সাফল্যের সাথে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ধাপ পেরিয়ে এখন ডাক্তার কিংবা প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তার স্বপ্ন পুরণের পথে বড় বাধা এখন দারিদ্রতা। মোর্শেদা পড়া-শুনায় খুবই মনোযোগি। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনি পরীক্ষায় সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে। এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে সে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে স্থানীয় রোস্তমনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে সে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করে। মোর্শেদা খাতুন (১৫) বলেন, আমি ডাক্তার কিংবা প্রকৌশলী হতে চাই। এজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি।