ডিমলায় পুকুর হতে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার॥ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী সহ আটক ৪

বিশেষ প্রতিনিধি ১৪ আগষ্ট॥
রেনু বেগম(৫৫) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদীর বিধৌত টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ি গ্রামের এই ঘটনাটি হত্যা না আতœহত্যা এ নিয়ে এলাকায় প্রশ্ন দেখা দেয়ায় আজ মঙ্গলবার (১৪ আগষ্ট) বিকাল সারে ৫টার দিকে পুলিশ ওই গৃহবধুর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী, দুই ছেলে ও পুত্রবধু সহ চারজনকে জন্য আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।

এলাকাবাসী জানায় গত কয়েকদিন ধরে তাদের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। নিহত ওই গৃহবধু উক্ত গ্রামের জামাল মিয়ার স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী। রেনু বেগমের বড় ছেলে মিলনের স্ত্রী গত দুই মাস হতে ঢাকায় তার বড় ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান করছে। রেনু বেগমের মেয়েটি রয়েছে তার স্বামীর সংসারে। বাড়িতে থাকতো রেনু বেগম ও তার স্বামী জামাল মিয়া, বড় ছেলে মিলন(৩৫) এবং ছোট ছেলে রুবেল(৩০) ও রুবেলের স্ত্রী শাহনাজ বেগম(২২)। তাদের ভাষ্যমতে রেনু বেগম ভারসাম্যহীন ও মাথা ঠিক নেই। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে পুকুরে ঝাপ দিয়ে আতœহত্যা করবে বলে  হুমকি দিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় গতকাল সোমবার (১৩ আগষ্ট) বিকাল হতে রেনু বেগম বাড়ি হতে নিখোঁজ হয়। সারা রাত ও পরের দিন মঙ্গলবার (১৪ আগষ্ট) সকালে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। বিভিন্ন আতœীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে রেনু বেগম পুকুরে ঝাপ দিয়ে আতœহত্যা করেছে। ওই আতœহত্যার সুত্র ধরে এলাকাবাসী বাড়ির অদুরে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পুকুরে জাল ফেলে সন্ধ্যান চালাতে থাকে। এক পর্যায় পুকুরের তলদেশ হতে ওই গৃহবধুর শরীরের কোমড়ের সঙ্গে দড়ি দিয়ে প্লাস্টিকের বস্তায় ৫টি ইটবাধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার হয়। এ সময় এলাকার শতশত নারী পুরুষ তা প্রত্যক্ষ করে। এরপর মরদেহ হতে প্লাষ্টিকের বস্তা ও ৫টি ভারী ইট সরিয়ে লাশ তার বাড়িতে নেয়া হয়।

গ্রামের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার সর্ত্বে জানায়, গভীর রাতে ওই পুকুরে জোড়ে কি যেন ফেলা হলো এমন শব্দে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। কিন্তু তারা বিষয়টি কোন অনুধাবন করতে পারেনি। অনেকের ধারনা রেনু বেগমকে হয়তো শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর লাশ ওইভাবে (প্লাস্টিকের বস্তায় ইট ভরে কোমড়ে বেধে) পুকুরে গভীর রাতে ফেলে দিয়ে আতœহত্যার কথিত ঘটনা সাজানো হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে আসল ঘটনা বেড়িয়ে পড়বে। এলাকাবাসী এটিকে আতœহত্যা নয় বরং হত্যাকান্ড বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় কারন ওই গৃহবধু নিজে প্লাষ্টিকের বস্তায় ইট ভরে তার কোমড়ে বেধে পুকুরে ঝাপ দিতে পারেনা। তবে নিহত রেনু বেগমের পরিবারের সদস্যরা এটি আতœহত্যা আখ্যায়িত করে তাদের কোন অভিযোগ নেই জানিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি চায়।

এদিকে বিকালে ঘটনাস্থলে সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ সহ একদল পুলিশ পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে জেলার মর্গে প্রেরন করে।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক হওয়ায় মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই পরিবারের চারজনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 6526990320587204894

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item