ব্রাজিল-বেলজিয়াম ম্যাচে মুখোমুখি লড়াইয়ে কে এগিয়ে?

খেলাধুলা-
আজ থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে রামিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের খেলা। কোয়ার্টার ফাইনালে দিনের দ্বিতীয় খেলায় মুখোমুখি ব্রাজিল-বেলজিয়াম।

শেষ আটের দুই প্রতিপক্ষ- ব্রাজিল র‍্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে, বেলজিয়াম তিনে। র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার উপরে থাকা জার্মানি গ্রুপপর্বেই বিদায়। তাতে সময়ের অন্যতম সেরা দুদলেরই নয় কেবল, এবারের বিশ্বকাপেরই অন্যতম সেরা দুদলের মহারণ হতে যাচ্ছে শুক্রবার, বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়।

রাশিয়ার কাজান অ্যারেনায় কোয়ার্টার ফাইনালের এই লড়াইয়ে একদিকে নেইমার-কৌতিনহোরা, অন্যদিকে লুকাকু-হ্যাজার্ডরা। অঘটনের বিশ্বকাপে শুক্রবার হারা দলটি এককদম দূরে সেমিফাইনাল রেখে বিদায় নেবে।

কোয়ার্টারে কে ফেভারিট? কেমন শক্তি ঝুলিতে নিয়ে মহারণে নামবে ব্রাজিল-বেলজিয়াম? দেখে নেয়া যাক পরিসংখ্যান কার পক্ষ নিচ্ছে।

ইতিহাস, সর্বশেষ পরিস্থিতিইবা কী বলছে-

*মুখোমুখি লড়াইয়ে ব্রাজিল পরিষ্কারভাবে এগিয়ে। সবমিলিয়ে মাত্র ৪বার বেলজিয়ামের বিপক্ষে নেমেছে সেলেসাওরা। যেখানে তিন জয়ের বিপরীতে হার দেখেছে একটিতে।

*১৯৬৩ সালে নিজেদের প্রথম দেখায় ৫-১ গোলে জয় পেয়েছিল ‘রেড ডেভিল’খ্যাত বেলজিয়াম। দুই বছর বাদে ৫-০ গোলের বিশাল এক জয় দিয়ে সেই হারের প্রতিশোধ নিয়েছিল সেলেসাওরা। হ্যাটট্রিক করেছিলেন পেলে।

*ব্রাজিল-বেলজিয়াম শেষবার লড়েছে ২০০২ বিশ্বকাপে। শুক্রবারের আগে সেটাই বিশ্বকাপে দুদলের প্রথম ও শেষ দেখা। দ্বিতীয় রাউন্ডে সেবারও ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল ফেনোমেনন রোনাল্ডোর ব্রাজিল। পরে দলটি জিতে নেয় বিশ্বকাপই।

*ব্রাজিল পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী। টুর্নামেন্টের শেষ তিন আসরে দুবার কোয়ার্টারে ছিটকে গেছে। এর আগে দুবার কোয়ার্টারে পা রেখেছে বেলজিয়াম। ব্রাজিলে গত আসরেও শেষ আটে পৌঁছেছিল। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে সেমিতে পৌঁছাই সেরা সাফল্য দলটির।

*জাপানের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৩ গোল জয় দিয়ে ম্যাচ জিতে কোয়ার্টারে এসেছে বেলজিয়াম, মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেরা আটে আসে ব্রাজিল।

*নিজেদের শেষ ১৬ ম্যাচের ১৩টি জিতেছে ব্রাজিল, হারেনি কোনোটিতে। বেলজিয়াম নিজেদের শেষ ৯ ম্যাচেই জয়ে মাঠ ছেড়েছে। আর ২২ ম্যাচে অপরাজিত আছে।

*শেষ ১৯ ম্যাচের ১৬টিতে অন্তত ২টি করে গোল করেছে ব্রাজিল। শেষ ৬ ম্যাচের ৫টিতে অন্তত ৩টি করে গোল করেছে বেলজিয়াম।

*তিতে দায়িত্ব নেয়ার পর ২৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ১৯টিতেই নিজেদের জালে বল জড়াতে দেয়নি ব্রাজিল। বাকি ৬ ম্যাচে মাত্র একটি করে গোল হজম করেছে।

*শেষ ৬ ম্যাচের ৫টিতেই ক্লিনশিট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল। বেলজিয়াম জয়ের ধারায় থাকলেও নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পারেনি।

*শেষ ৭ ম্যাচে ব্রাজিলের গোল করার গড় ২.৫ এর উপরে। বেলজিয়ামও নিজেদের শেষ ৭ ম্যাচে একই হারে গোল করেছে।

*হলুদ কার্ড জেরে কোয়ার্টারে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ডিফেন্ডার কাসেমিরোকে পাচ্ছে না ব্রাজিল।

*গ্রুপপর্বে তিন জয়ে সর্বোচ্চ পয়েন্ট-৯ পাওয়া তিন দলের একটি বেলজিয়াম। ব্রাজিল দুই জয়ের পিঠে এক ড্র নিয়ে নক আউটে এসেছে।

*টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার দুইয়ে আছেন বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু, ৪ গোল। ব্রাজিলের নেইমার ও কৌতিনহোর ঝুলিতে ২টি করে গোল।

*টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি গোল দিয়েছে বেলজিয়াম, ১২টি। ব্রাজিল দিয়েছে ৭টি।

*রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত মাত্র এক গোল হজম করেছে ব্রাজিল। উরুগুয়ের সঙ্গে মিলে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম গোল হজম করা দল। বেলজিয়াম হজম করেছে ৪টি।

*গোলমুখে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ নেইমারের, ২৪বার। অন টার্গেটে সবচেয়ে বেশি শটও নেইমারের, ১২টি।

*সতীর্থদের জন্য সবচেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছেন নেইমারই, ১৬ বার। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার নেইমার, ২৩ বার। সর্বোচ্চ ড্রিবল ৩৫ বার তারই।

*ব্রাজিলের হয়ে নিজের শেষ ১৯ ম্যাচে ২০টি গোলে অবদান রেখেছেন নেইমার। সময়টাতে নিজে করেছেন ১১ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৯টি।

*বেলজিয়ামের হয়ে নিজের শেষ ১৮ ম্যাচে ১৯টি গোলে অবদান রেখেছেন এডেন হ্যাজার্ড। নিজে ১০ গোল করেছেন সময়টাতে, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৯টি।

*এবার কোনো এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোল ৭টি। দুবার ঘটেছে। একবারে নাম আছে বেলজিয়ামের। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে গ্রুপপর্বে। ব্রাজিলের প্রতিটি ম্যাচেই ২টি করে গোল হয়েছে।

*কোনো এক ম্যাচে সর্বোচ্চসংখ্যক আক্রমণ ৩১ বার, বেলজিয়ামের।

*বিশ্ব আসরে ৪ বার টাইব্রেকারের অভিজ্ঞতায় পড়া ব্রাজিল জিতেছে তার ৩টিতেই। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে ফাইনালেও টাইব্রেকারে জিতে মাঠ ছেড়েছিল।

*বিশ্বকাপে একবার টাইব্রেকারের অভিজ্ঞতা থাকা বেলজিয়াম সেবার জিতেছিল। ১৮৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে স্পেনকে টাইব্রেকারে হারায় দলটি।

*১৯৯০ সালের পর কখনও বিশ্বকাপের কোয়ার্টারের আগে ছিটকে যায়নি ব্রাজিল। টানা ৭ বারের মতো শেষ আটে খেলছে সেলেসাওরা। আগে মাত্র ২ বার হেরেছে সেরা আটে।

*বিশ্বকাপের শেষ তিন আসরেই ইউরোপিয়ান দলের কাছে হেরে ছিটকে গেছে ব্রাজিল। ২০০৬-এ ফ্রান্স, ২০১০-এ নেদারল্যান্ডস ও ২০১৪-এ ঘরের মাঠে জার্মানির কাছে।

পুরোনো সংবাদ

খেলাধুলা 2175796565766594629

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item