তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি॥ বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১জুলাই॥
উজানের ঢলে গর্জে উঠেছে তিস্তা নদী। আজ রবিবার নীলফামারীর ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ বাইশপুকুর পয়েন্টে বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই পয়েন্টে  বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। ফলে নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
এদিকে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দেয়ায় নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা এবং লালমনিরহাট জেলার তিস্তা চর বেস্টিত গ্রামগুলোর বসতঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানিয়েছে। ফলে তিস্তার চরের টেপাখাড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, খগাখড়িবাড়ি, পূর্ব ছাতনাই, নাউতারা, ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৌলমারীসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের বসবাসরত পরিবারগুলো আতংকিত হয়ে পড়ে নিরাপদে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।
তবে ডিমলার পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, তার ইউনিয়নের ঝাড়সিংশ্বের এলাকায় বসবাসরত ৫শতাধিক বাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেেছ। পরিবারগুলো নৌকায় নিরাপদ স্থানে আসার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির কারনে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। এদিকে তিস্তা অববাহিকার জনপ্রতিনিধিরা জানায় তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি মানেই উজানে ভারী বৃদ্ধিপাত ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেয়ার প্রধান কারন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন পুর্বাভাস ও সর্তকীকেন্দ্র তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, আজ রবিবার সকাল ৬টায় ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ বাইশপুকুর পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ৫০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিন ঘন্টা পর সকাল ৯টায় ওই পয়েন্টে তিস্তার পানি আরো ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায় এবং দুপুর ১২টায় আরও  সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৫৬ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যে কোন সময় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এ ছাড়া ২৪ ঘন্টায় তিস্তা অববাহিকায় বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৯৯ মিলিমিটার। সুত্র মতে তিস্তা অববাহিকা সহ জেলা জুড়ে ভারী বৃস্টিপাত অব্যাহত  রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায় চরগ্রামের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। পলিতে ভরে থাকা তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেই পানি উপচে এলাকা প্লাবিত করে দেয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম জানান আজ রবিবার সকাল হতে তিস্তা নদীর পানি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আমরা সর্তকাবস্তায় থেকে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে রেখেছে। #