ডিমলার পর এবার সৈয়দপুর ইউএনওর সরকারী মোবাইল সিম ক্লোন

বিশেষ প্রতিনিধি ১৭ জুলাই॥
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পর এবার সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারী মোবাইল সিম ক্লোন করেছে একটি প্রতারক চক্র। তারা ইউএনও’র পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যাদে কে কল করা হয় তার বুঝতে পেরেছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সিমটি ক্লোন করে বিভিন্ন সময়ে সৈয়দপুর পৌরসভার দুইজন কাউন্সিলর সহ বিভিন্নজনকে ফোন করে টাকা দাবি করা হয়।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলুর রশীদ জানান, আসার সরকারী সিমটি যে ক্লোন হয়েছে তা বুঝতে পারিনি। যখন বিভিন্নজন এসে আমাকে ও মোবাইলে বিষয়টি জানায় তখন আমি অবাক হয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ফেসবুক সহ মাইকে তা প্রচার করে সকলকে সাবধান হতে আহবান জানাই। তিনি বলেন
সরকারী সিমটি ক্লোন করে একটি চক্র শহরের বিভিন্ন জনের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতারনার চেষ্টা করেছে। আবার যদি এ ধরনের কোন অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটে তাহলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সকল কে অবগত করতে বলেছেন।এর আগে গত বছরের ১৪ আগষ্ট ডিমলা ইউএনও সরকারী নম্বর ক্লোন করা হয়েছিল।

সৈয়দপুর উপজেলার এই ঘটনায় জানা যায়, প্রতারক চক্রটি ইউএনও সরকারী সিমটি ক্লোন করে সৈয়দপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জিয়াউল হক জিয়া ও জোবায়দুল হক মিন্টুকে ফোন করে। তাদের বলা হয় আপনার ওয়ার্ডে জন্য বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে চাউল দেয়া হয়েছে। আর এজন্য ঢাকায় ২০ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। আমার দেয়া বিকাশ নম্বরে টাকাটা এখনি পাঠিয়ে দিন।
কাউন্সিলর জোবায়দুল হক মিন্টু বলেন, ইউএনও কন্ঠটি নকল করা হয়েছে এটি বুঝতে পেয়ে তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানান। এরপরও শহরের বিভিন্ন বিশিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের ফোনে ইউএনও মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। তারা উল্টো ওই নম্বরে ফোন দিলে তা বারবার কেটে দেয়া হয়।
শহরের নতুন বাবুপাড়ার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান জানান, দুপুরে গোসল করার সময় ইউএনও নম্বর থেকে ফোন আসে। যা আমি রিসিভ করতে পারিনি।  পরে ওই নম্বরে বার বার চেষ্টা করে সংযোগ না পাওয়ায় স্বশরীরে ইউএনও অফিসে গিয়ে হাজির হয়ে জানতে পারি মোবাইল সিম ক্লোন হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কারা সিমটি ক্লোন করেছে তাদের চিহিৃত করতে কাজ শুরু করা হয়েছে।

উল্লেখ যে, ২০১৭ সালের ১৪আগষ্ট নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি ও ব্যাক্তিগত মুঠোফোন নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে ক্লোন করে সেই নম্বর দিয়ে বেশী করে চাল বরাদ্দ দেয়ার নামে ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রতারণার চেস্টা করা হয়েছিল। প্রতি ইউপি চেয়ারম্যানকে অতিরিক্ত ২০ মেট্রিকটন করে চালের ডিও লেটার দেয়া হবে জানিয়ে একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে ২০ হাজার করে টাকা দাবি করা হয়।
সে সময় ডিমলার দায়িত্বে থাকা সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিম ডিমলা থানায় একটি জিডি করেছিলেন।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7159089020309811575

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item