নীলফামারীতে বিষপানে নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা
https://www.obolokon24.com/2018/07/nilphamari_84.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২৯ জুলাই॥
ইউনিয়নে ইঁদুর মারা বিষের বড়ি খেয়ে নীলফামারী জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশষী কাছারীপাড়া গ্রামের নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। আজ রবিবার (২৯ জুলাই) তাদের নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সকাল সোয়া ১০টার দিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী আদুরী বেগমের (১৮) ও বেলা সোয়া ১২টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় স্বামী আজিনুর রহমানের (২২) মৃত্যু হয়। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রতিবেশীরা ও পারিবারিক সূত্র জানায়, দশ মাস আগে পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশষী কাছারীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে নির্মান শ্রমিক আজিনুর রহমানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কুঠিপাড়া গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে আদুরী বেগেমের বিয়ে হয়। আজিনুর ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কাজে যাওয়ার সময় স্ত্রী আদুরীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যেতেন। ১৫ দিন আগে ঢাকা থেকে ফিরে স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে আসেন। এরপর তিন দিন আগে আবারো স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যায় এবং সেখান থেকে স্ত্রীর নানীর বাড়িতে বেড়িয়ে শনিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজবাড়িতে ফিরে আসে। ঘটনার দিন রবিবার (২৯ জুলাই) সকালে নিজ শোয়ার ঘরে ইঁদুর মারার বিষের বড়ি খেয়ে দুজনেই অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাদেরকে উদ্ধার করে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে স্ত্রী আদুরী বেগম মারা যায়। স্বামী আজিনুর রহমানকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে বেলা সোয়া ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আদুরীর চাচা বাবু হোসেন (৩৫) বলেন, আদুরীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা হাসপতালে আসি। তাদের স্বামী-স্ত্রীর (আদুরী-আজিনুর) মধ্যে কোন দ্বন্দ, কলহ ছিল না। তবে লোকমুখে শুনেছি শনিবার (২৯ জুলাই) আদুরীর নানির বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পর দুইজনকেই গালমন্দ করেছেন আজিনুরের বাবা-মা।
তবে এবিষয়ে কথা বলার জন্য আজিনুরের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেশী রাজু ইসলাম (২৪) বলেন, আজিনুর ঢাকায় রাজমিস্তির কাজ করতো। এসময়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকতো। তাদের পরিবারের মধ্যে কখনো কোন ঝগড়া বিবাদ দেখিনি। এভাবে একসাথে আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদেরকে হতবাক করেছে।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবিবর রহমান বলেন, বেলা সোয়া ১০টার দিকে আদুরী এবং সোয়া ১২টার দিকে আজিনুরের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তারা দুইজনেই ইঁদুর মারার বিষের বড়ি খেয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছি।
নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মমতা বেগম জানান, ওই স্বামী-স্ত্রী ইঁদুর মারার বিষটোপ খেয়ে অসুস্থ্য হলে সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাদের স্বজনরা। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে আদুরীর মৃত্যু হয়। আজিনুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থান্তর করা হয়।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আকতার বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় নীলফামারীতে স্ত্রী আদুরী এবং রংপুরে স্বামী আজিনুরের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের খবরে আদুরীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপররদিকে রংপুর থেকে আজিনুরের লাশ গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
ইউনিয়নে ইঁদুর মারা বিষের বড়ি খেয়ে নীলফামারী জেলা সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশষী কাছারীপাড়া গ্রামের নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। আজ রবিবার (২৯ জুলাই) তাদের নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সকাল সোয়া ১০টার দিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী আদুরী বেগমের (১৮) ও বেলা সোয়া ১২টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় স্বামী আজিনুর রহমানের (২২) মৃত্যু হয়। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রতিবেশীরা ও পারিবারিক সূত্র জানায়, দশ মাস আগে পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরাশষী কাছারীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে নির্মান শ্রমিক আজিনুর রহমানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কুঠিপাড়া গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে আদুরী বেগেমের বিয়ে হয়। আজিনুর ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কাজে যাওয়ার সময় স্ত্রী আদুরীকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যেতেন। ১৫ দিন আগে ঢাকা থেকে ফিরে স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে আসেন। এরপর তিন দিন আগে আবারো স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যায় এবং সেখান থেকে স্ত্রীর নানীর বাড়িতে বেড়িয়ে শনিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজবাড়িতে ফিরে আসে। ঘটনার দিন রবিবার (২৯ জুলাই) সকালে নিজ শোয়ার ঘরে ইঁদুর মারার বিষের বড়ি খেয়ে দুজনেই অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাদেরকে উদ্ধার করে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে স্ত্রী আদুরী বেগম মারা যায়। স্বামী আজিনুর রহমানকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে বেলা সোয়া ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আদুরীর চাচা বাবু হোসেন (৩৫) বলেন, আদুরীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা হাসপতালে আসি। তাদের স্বামী-স্ত্রীর (আদুরী-আজিনুর) মধ্যে কোন দ্বন্দ, কলহ ছিল না। তবে লোকমুখে শুনেছি শনিবার (২৯ জুলাই) আদুরীর নানির বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পর দুইজনকেই গালমন্দ করেছেন আজিনুরের বাবা-মা।
তবে এবিষয়ে কথা বলার জন্য আজিনুরের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেশী রাজু ইসলাম (২৪) বলেন, আজিনুর ঢাকায় রাজমিস্তির কাজ করতো। এসময়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকতো। তাদের পরিবারের মধ্যে কখনো কোন ঝগড়া বিবাদ দেখিনি। এভাবে একসাথে আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদেরকে হতবাক করেছে।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবিবর রহমান বলেন, বেলা সোয়া ১০টার দিকে আদুরী এবং সোয়া ১২টার দিকে আজিনুরের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তারা দুইজনেই ইঁদুর মারার বিষের বড়ি খেয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছি।
নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মমতা বেগম জানান, ওই স্বামী-স্ত্রী ইঁদুর মারার বিষটোপ খেয়ে অসুস্থ্য হলে সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাদের স্বজনরা। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে আদুরীর মৃত্যু হয়। আজিনুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থান্তর করা হয়।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আকতার বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় নীলফামারীতে স্ত্রী আদুরী এবং রংপুরে স্বামী আজিনুরের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের খবরে আদুরীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপররদিকে রংপুর থেকে আজিনুরের লাশ গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।