কিশোরগঞ্জে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের অভিযোগ


মোঃ শামীম হোসেন বাবু, কিশোরগঞ্জ,(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায়  ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের  কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার । পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের লোকজন রাতের আধাঁরে ছাদের ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে  ও নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার  কিশোরগঞ্জ শিশু নিকেতন স্কুল এ্যান্ড কলেজের চারতলা বিশিষ্ঠ একাডেমিক ভবন নির্মানের জন্য প্রথমে একতলা ভবন নির্মান কাজ সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। টেন্ডারে কাজটি পায় দিনাজপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোঃ ইব্রাহিম খলিল সরকার। কাজ শুরুর তারিখ ১৮-৯-২০১৭  ও কাজ শেষের তারিখ ২০১৮ সালের আগষ্ট মাসে। কাজটির তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সুত্রে জানা গেছে,  সিডিউল অনুযায়ী ভবনটি নির্মানের জন্য ২০ মিলি রড দিয়ে ২৯ টি কলম, ২০ মিলি রড দিয়ে ১৬ টি বিম ও ৩ সুতি ১০ মিলি রড ও পঞ্চগড় জেলার ভোজনপুর থেকে আনা পারফেক্ট বালু , পিকেট ইটের খোয়া ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট পরিমানমত  একত্রে মেশিনে প্রস্তুত করে ছাদ ঢালাইয়ের কথা থাকলে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান তদারকি কর্মকতাদের ম্যানেজ করে নিম্নমানের পরিত্যাক্ত ইটের খোয়া, লোকাল বালু ও পরিমানমতো সিমেন্ট না দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করছিল। পরে এলাকাবাসী কাজ করতে বাঁধা দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ বন্ধ করে চলে যান। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের লোকজন আবারো রাতেঁর আঁধারে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করে। 
ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের পক্ষে কাজের দায়িত্বে থাকা  সাজু মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ভবনের কাজ চলছে এখানে কাজের ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে তারা অব্যশই ব্যবস্থা নিত।
 ঠিকাদার ইব্রাহিম খলিল সরকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী  ও একাডেমিক ভবন নির্মান কাজের তদারকি কর্মকর্তা  গোলাম মোস্তফা ওরফে মাসুদ রানা বলেন, একাডেমিক ভবনটি নির্মানের ক্ষেত্রে সিডিইল অনুযায়ী ২৯ টি কলম ঠিক আছে তবে বিম রয়েছে ৯টি। তিনি আরো বলেন, বালু যেখান থেকে আনা হোক  বালুর এফ,এম ঠিক থাকলে হলো, খোয়া পিকেট হতে হবে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারনে এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দিয়েছে  প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এলাকাবাসী নয়  কতিপয় কিছু চাঁদাবাজ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই রাতে কাজ করা হয়েছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাজে অনিয়ম হলে অব্যশই এলাকাবাসী বাঁধা দেবে তাতে কোন সমস্যা নেই। ঠিকাদারের লোকজন রাঁতের আঁধারে ভবনের ছাঁদ ঢালাই দিয়েছে বললে তিনি বলেন, রাতে ঢালাই দেওয়া ঠিক হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমি তদারকি কর্মকর্তার সাথে কথা বলব এবং নিজে গিয়ে পরিদর্শন করে দেখব যদি কোন অনিয়ম হয় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2429092003696752647

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item