জলঢাকায় ইউ’পি চেয়ারম্যানের মহতী উদ্দ্যোগে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ

মর্তুজা ইসলামজলঢাকা,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার দুই উপজেলায় তিস্তা নদীর দূর্গম চরবর্তী ৪ ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দাদের যাতায়াত সুবিধার জন্য নিজ উদ্দ্যোগে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় প্রায় ১০০ হাত বাশেঁর সাঁকো নির্মাণ করে দিলেন শৌলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রাণজিৎ কুমার রায় পলাশ ।
সরেজমিনে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল চরভরট ভাটিরচর পশ্চিম পাড়া এলাকায় মঙ্গলবার গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির ভাংগা স্থানে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণে এলাকাবাসীকে উৎসাহিত করতে চেয়ারম্যান নিজেই কাজ করছে। এ সময় সাথে ছিলেন,১,২,৩ সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নুরনাহার বেগম। রাস্তাটির গুরুত্ব সর্ম্পকে ওই এলাকার বৃদ্ধ যাদু মিয়া (৭০) বলেন, ৪ ইউনিয়নের ১৫-২০ হাজার মানুষ হামা এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আইসা করি। বর্ষা আসিলেই এই জায়গাটি বারবার ভাঙ্গি যাওয়ায় স্কুল কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়েসহ গ্রামের মানুষের খুব কষ্ট হয়। চেয়ারম্যান এবারে হামার পাশোত দাড়ায় হামা খুব খুশি।
ওই এলাকার ভাংগা খালের ওপার থেকে আসা শৌলমারী গোপালঝাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর রাশেদুল,৮ম শ্রেণীর সাবিনা ও রুবিনা বলেন, বর্ষা আসিলে যাতায়তের অসুবিধার জন্য আমাদের স্কুল আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়,ভাংগা স্থানে একটি স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণ হলে আমাদের যাতায়তের অনেক সুবিধা হবে।
ব্রীজের ওপারের শফিকুল ইসলাম (৪০) বলেন,চেয়ারম্যান বাঁশের সাঁকো দেওয়ায় আমরা খুব খুশি,তবে আগামী খড়া মৌসুমে স্থায়ী একটি ব্রীজ নির্মাণের জোড় দাবী জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রাণজিৎ কুমার রায় পলাশ বলেন, আমার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের এই দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য,শিক্ষা,বিদ্যুৎ ও যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য আমি একটি পরিকল্পনা ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। যা বাস্তবায়ন হলে এই চরাঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার আমূল পরিবর্তন হবে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 9175665662783756627

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item