সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে

 দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় দু’এক দিনের মধ্যে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। সেই সাথে বিজলি চমকানোসহ বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

এদিকে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দিখেয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটিভাবে সক্রিয় থাকায় দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট অঞ্চলসহ বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফেনী, কুমিল্লা মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুরের অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও ছোট আকারের ঝড়ো-হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপ ভারতের বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

গতকাল বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ২৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ।