ভিজিএফ চাল নিতে গিয়ে চেয়ারম্যান কর্তৃক অসহায় মহিলা লাঞ্চিত
https://www.obolokon24.com/2018/06/thakurgaon_18.html
আব্দুল
আওয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।
গত শুক্রবার ১৫ই জুন সকালে গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ চাউল বিতরণ করার সময় এক অসহায় মহিলা চেয়ারম্যানের নিকট ভিজিএফ এর চাউল চাইতে গেলে, গড়েয়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল ইসলাম শাহ প্রকাশ্যে সকলের সামনে ঐ মহিলাকে লাঞ্চিত করে এবং তার বাম গালে চর মারে।
গত শুক্রবার ১৫ই জুন সকালে গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ চাউল বিতরণ করার সময় এক অসহায় মহিলা চেয়ারম্যানের নিকট ভিজিএফ এর চাউল চাইতে গেলে, গড়েয়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল ইসলাম শাহ প্রকাশ্যে সকলের সামনে ঐ মহিলাকে লাঞ্চিত করে এবং তার বাম গালে চর মারে।
সরেজমিনে
অসহায় মহিলাটির সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বামী সন্তান নিয়ে প্রতিনিয়তই
কষ্টে দিন যাপন করেন। ঈদকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ভিজিএফ এর চাল
বিতরন করা হচ্ছে। এমন খবর শুনে এক বুক আশা নিয়ে খাদিজা নামের ঐ মহিলাটি
চেয়ারম্যানের কাছে চাল চাইতে যায়। কিন্তু চেয়ারম্যানের কাছে চালের কথা বলতে
গেলেই তাকে চর মেরে সকলের সামনে লাঞ্ছিত করে। জানা যায়, খাদিজার স্বামির
নাম আজিজুল, পিতার নাম মৃত লতিফ মুন্সী, গ্রামঃ গড়েয়া গোপালপুর (মমিন
পাড়া, ২নং ওয়ার্ড)। মহিলাটি সকলের সামনে লাঞ্ছিত হয়ে ইউপি পরিষদের মেম্বার
কক্ষে প্রায় ঘন্টা খানেক কান্না কাটি করে চলে যায়। আরও জানা যায় যে,
প্রতিটি স্লিপে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা ৭ কেজি। এ
নিয়ে চাল নিতে আসা অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে নানা ক্ষোভ ও অসহায়ত্ব
বিরাজ করছে। কিন্তু কেউ এর প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
এই
ঘটনায় এলাকা জুরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে শনিবার (ঈদের দিন) রাতে
চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল ইসলাম রেদো শাহ তার ভাতিজা সিয়াম কে সেমাই ও চিনি
দিয়ে ক্ষমা চাইতে পাঠান এবং তাদের কে ভয় দেখিয়ে বলা হয়, আমার চাচার
বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করলে, তোমাদের ঘর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হবে।
এ
বিষয়ে ১৩ নং গড়েয়া ইউপি চেয়ারম্যান রেদো শাহ এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে
তিনি বলেন, আমি মহিলাটিকে চর মারি নি কিন্তু ধাক্কা দিয়েছিলাম। তিনি আরও
বলেন ঐ মহিলা আমার জমিতে থাকে।
অভিযোগ রয়েছে ইতি
পুর্বে ঐ ইউনিয়নের গরীব অসহায় মানুষগুলি বিভিন্ন্য সময় বিভিন্ন্য কাজে ইউপি
চেয়ারম্যান এর নিকট গেলে কটাক্ষ করে কথা বলে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি এই
ইউনিয়নের একবার চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছা ছোট বেলা থেকেই ছিল, তা যেমন করে
হউক হয়েছি, আর দরকার নেই তাই ইউনিয়নের উন্নয়্যন, মাদক, সন্ত্রাস কোন কিছুই
আমার দেখার প্রয়োজন নাই, আমার তো আর কম নাই, তাছাড়া আমি একজন জেলার নেতা।