স্বজনদের আহাজারি! সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নীলফামারীর ৯ তরুণের দাফন সম্পন্ন

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৮জুন॥
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নীলফামারীর ৯ যুবকের দাফন স¤পন্ন হয়েছে নিজ নিজ এলাকায়। আজ সোমবার দুপুরে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়। নিহতরা সবাই নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের নতিবাড়ি ও আরাজি দলুয়া এবং গোড়গ্রাম ইউনিয়নের চৌরঙ্গি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
তারা হলেন- নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের নতিবাড়ি কাঞ্চনপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৮), কোবাদ আলীর ছেলে শামীম হোসেন (২২), আনারুল ইসলামের ছেলে রাব্বী (১৪), নতিবাড়ি ধোপাডাঙ্গা এলাকার অভিয়ার রহমানের ছেলে খায়রুল ইসলাম (১৯), আরাজি দলুয়া এলাকার আব্দুল হান্নানের ছেলে ময়নুল হোসেন (২০), আব্দুর রশিদের ছেলে ডালিম (১৯) ও হাফিজুল ইসলামের ছেলে মাজেদুল ইসলাম (১৪), মিজানুর রহমান এবং গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা এলাকার সুভাস চন্দ্র রায়ের ছেলে বিধান চন্দ্র রায় (১৮)।
চওড়া বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য পিকআপ ভাড়া করে ২৮ জন তরুণ দিনাজপুর জেলার বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরিতে যায়। গতকাল রবিবার (১৭জুন) রাতে ফেরার পথে সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কের ধলাগাছ নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী নৈশকোচ পিকআপটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে আটজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো একজন মারা যান। এছাড়া আহত হন ১৪ জন। তাদের মধ্যে ৮ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নেরই সাতজন। বাকি একজন গোড়গ্রাম এবং অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের নতিবাড়ি কাঞ্চনপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ৬ হাজার টাকায় পিকআপটি ভাড়া নিয়ে স্বপ্নপুরিতে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাস্থলে নৈশকোচের সাথে সংঘর্ষ হলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে যাই। যারা মারা গেছেন তারা সবাই ১৫-২০বছরের।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। গুরুতর আহত আটজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার ভোরে পুলিশ নিহতদের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। সকাল থেকে দাফনের প্রক্রিয়া শুরু করেন স্থানীয়রা। মৃতদেহ পৌঁছলে সেখানে শোকের মাতম শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম জানান, হতাহতদের জন্য সরকারিভাবে সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হবে। দ্রুত পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।
নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে যাতে এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2354898435001147286

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item