সৈয়দপুরে ট্রেন গণহত্যা দিবস পালিত
https://www.obolokon24.com/2018/06/saidpur_14.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
গতকাল (বুধবার) নানা আয়োজনে ১৯৭১ সালের ১৩ জুন নীলফামারীর সৈয়দপুরে ট্রেন গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি সৈয়দপুর এর উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। শহরের গোলাহাট বধ্যভূমিতে ট্রেন গণহত্যা দিবসের মূল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী - ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব মো. শওকত চৌধুরী।বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন।
এতে সভাপতিত্ব করেন শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট তুষার কান্তি রায়।
এতে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেয় সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক যোগেন্দ্র নাথ রায়, পূজা উদ্যাপন কমিটি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি রাজ কুমার পোদ্দার রাজু, শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ’৭১ এর সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, শহীদ পরিবারের সন্তান সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু প্রমূখ। আলোচনা সভাটি উপস্থাপনা করেন সৈয়দপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক রঞ্জন কুমার রায়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবোধ কুমার দাস্, শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস মিন্টু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মহিলা ঐক্য পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও পৌর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর কনিকা রানী সরকার, সাধারণ সম্পাদক ডা. অমৃতা আগরওয়ালাসহ শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়ক থেকে একটি মৌন পদযাত্রা বের করা হয়। এতে সৈয়দপুর শহরের বিভিন্œ শ্রেণী ও পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের শহীদ স্মৃতি অম্লানে প্রজন্ম ’৭১ এর পক্ষ থেকে এবং শহরের গোলাহাট বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শওকত চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপজেলা ও পৌর কমিটি, স্মরনিকা পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১৩ জুন নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহরের সংখ্যালঘু হিন্দু ও মাড়োয়ারী সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ ও শিশুদের নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশনে জড়ো করা হয়। পরে তাদের একটি বিশেষ ট্রেনে তুলে নিয়ে গিয়ে শহরের উপকণ্ঠে গোলাহাট এলাকায় হানাদার পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা প্রায় সাড়ে ৪ শ’ নারী পুরুষ ও শিশুকে ট্রেনের মধ্যে নির্মমভাবে হত্যা করে। বর্বর হত্যাযজ্ঞের স্থানটি সৈয়দপুর শহরের ‘গোলাহাট বধ্যভূমি’ হিসেবে পরিচিত।
গতকাল (বুধবার) নানা আয়োজনে ১৯৭১ সালের ১৩ জুন নীলফামারীর সৈয়দপুরে ট্রেন গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি সৈয়দপুর এর উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। শহরের গোলাহাট বধ্যভূমিতে ট্রেন গণহত্যা দিবসের মূল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী - ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব মো. শওকত চৌধুরী।বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন।
এতে সভাপতিত্ব করেন শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট তুষার কান্তি রায়।
এতে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেয় সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক যোগেন্দ্র নাথ রায়, পূজা উদ্যাপন কমিটি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি রাজ কুমার পোদ্দার রাজু, শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ’৭১ এর সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, শহীদ পরিবারের সন্তান সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু প্রমূখ। আলোচনা সভাটি উপস্থাপনা করেন সৈয়দপুর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক রঞ্জন কুমার রায়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবোধ কুমার দাস্, শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস মিন্টু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মহিলা ঐক্য পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও পৌর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর কনিকা রানী সরকার, সাধারণ সম্পাদক ডা. অমৃতা আগরওয়ালাসহ শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়ক থেকে একটি মৌন পদযাত্রা বের করা হয়। এতে সৈয়দপুর শহরের বিভিন্œ শ্রেণী ও পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের শহীদ স্মৃতি অম্লানে প্রজন্ম ’৭১ এর পক্ষ থেকে এবং শহরের গোলাহাট বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শওকত চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপজেলা ও পৌর কমিটি, স্মরনিকা পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১৩ জুন নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহরের সংখ্যালঘু হিন্দু ও মাড়োয়ারী সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ ও শিশুদের নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশনে জড়ো করা হয়। পরে তাদের একটি বিশেষ ট্রেনে তুলে নিয়ে গিয়ে শহরের উপকণ্ঠে গোলাহাট এলাকায় হানাদার পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা প্রায় সাড়ে ৪ শ’ নারী পুরুষ ও শিশুকে ট্রেনের মধ্যে নির্মমভাবে হত্যা করে। বর্বর হত্যাযজ্ঞের স্থানটি সৈয়দপুর শহরের ‘গোলাহাট বধ্যভূমি’ হিসেবে পরিচিত।