দিন দিন ফুসে উঠছে ছাত্রসমাজ, কারমাইকেল কলেজের ছাত্রদের হল খুলে দেওয়ার দাবী
https://www.obolokon24.com/2018/06/rangpur_80.html
হাজী মারুফ।
২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল এখন পর্যন্ত কারমাইকেল কলেজে ছাত্রদের হলগুলি খোলা হয়নি । সময়ের সাথে দাবী উঠেছে রংপুর জেলা ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি ওসমান গনি হল খোলার দাবীতে আন্দোলন শুরু করে । এখন এ আন্দোলন নগরবাসীর সাধারণ মানুষের । জানা গেছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রংপুর কারমাইকেল কলেজ। প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের চারটি ও ছাত্রীদের তিনটি ছাত্রাবাস রয়েছে। ছাত্রীদের হলগুলি যথারীতি খোলা থাকলেও ২০১১ সালের পর থেকে বন্ধ রয়েছে ছাত্রদের ৪টি ছাত্রাবাসই।২০১১ সালের ১৩ জুন স্টাফ কাউন্সিলের এক সভা শেষে ছাত্রদের চারটি ছাত্রাবাসের সকল আবাসিক ছাত্রের সিট বরাদ্দ বাতিল এবং ২০ জুনের মধ্যে ঐ চার ছাত্রাবাসে থাকা ছাত্রদের সব মালপত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ । এর পর থেকেই হলগুলি বন্ধ রয়েছে। সীট বরাদ্দ বাতিলের পরে তৎকালীন কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ দীপ কেন্দ্র নাথ দাস সাংবাদিকদের জানান, কলেজের ৪টি ছাত্রাবাস রয়েছে। যাদের মধ্যে জিএল, ওসমানী, সিএম এই ৩টি ছাত্রাবাসে ইসলামী ছাত্রশিবির ক্যাডাররা অবস্থান করে বিভিন্ন অরাজকতাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল গত দুই দশক ধরে। কেবি ছাত্রাবাস সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য। গত মার্চে (২০১১) ছাত্রলীগ ও শিবির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সবগুলো ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় । অপরদিকে বর্তমানে কলেজে এমন কোন উত্তেজনাকর অবস্থা নেই যে ছাত্রাবাস বন্ধ রাখতে হবে। তাহলে কি কারণে হলগুলি বন্ধ? তাও আবার বছরের পর বছর ধরে । । প্রফেসর ড.শেখ আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বললেন ৪টি হল খুলে দেওয়ার প্রস্তুুতি চলছে । এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ জাসদ সভাপতি ওসমান গনি বলেন যদি আলোচনার মধ্যে দিয়ে হল খুলে দেওয়া না হয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শান্তিপুর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দাবী আদায় করা হবে ।্
অধ্যক্ষের আমলে এমন সব ঘটনা ঘটছেই একাধারে।
ডঃ দীপ কেন্দ্র নাথ দাস আগের টার্মে অধ্যক্ষ থাকাকালীন সময়ে তাঁর ডানে বামে সব সময়ের জন্য দেখা যেতো শিবিরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে । এমনকি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ছাত্রাবাসে সরস্বতী পূজায় অধ্যক্ষের সাথে থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে শিবির সভাপতি ও সম্পাদককে। আর এখন সেই স্থান দখল করেছে ছাত্রলীগের নেতারা। মূলত অধ্যক্ষের অতি চাটুকারিতাই আজ এই অবস্থার জন্য দায়ী। তিনি কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ কম ছাত্রলীগ নেতাদের নেতা হিসেবেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন। আর এর ফল ভোগ করছে কারমাইকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা। শিবিরের সন্ত্রাসীদের ভয়ে ছাত্রাবাস বন্ধ রাখার দুর্নাম বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে কারমাইকেল কলেজ।
২০১১ সালের ১৩ জুন স্টাফ কাউন্সিলের এক সভা শেষে ছাত্রদের চারটি ছাত্রাবাসের সকল আবাসিক ছাত্রের সিট বরাদ্দ বাতিল এবং ২০ জুনের মধ্যে ঐ চার ছাত্রাবাসে থাকা ছাত্রদের সব মালপত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ । এর পর থেকেই হলগুলি বন্ধ রয়েছে। তারও বছর খানেক পরে আরও একটা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চারটি হলকেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন ম্যাডাম ছিলেন প্রিন্সিপাল। পরে আবার নিউজ দেখলাম জিএল হোস্টেলকে সংস্কার করে ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তারপরে আর জানিনা। তবে দেখেছি খানিকটা সংস্কার মনে হয় করেছে। সে যাই ই হোক, এটা ঠিক যে, দীপকেন্দ্র নাথা স্যার থাকাকালীন শিবির ফোবিয়া থেকে হল বন্ধ রাখা হয়েছে। যা খুবই লজ্জাজনক। বিশেষ করে এই সরকারের আমলে। তাও আবার জন্মের পর থেকে সবচেয়ে কঠিন সময় যখন জামাতিরা পার করছে সেই সময়ে। ............ ছাত্র রাজনীতির কাজ কি? ছাত্রদের সমস্যা দেখা, তাই তো? কারমাইকেল কলেজের জাসদ ছাত্রলীগ, আওয়ামী ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, জাতীয় ছাত্র সমাজসহ সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, দেশে কারমাইকেলের মতো একটা মাস্টার্স কলেজ দেখাতে পারবেন যে কলেজে হোস্টেল নাই? আজিজুল হক কলেজ, বিএম কলেজ, তোলারাম কলেজ, এডোয়ার্ড কলেজ, চট্রগ্রাম কলেজ, রাজশাহী কলেজ কোন কলেজে হল নাই? ১৭/১৮ টা বিষয়ে পোড়ান হচ্ছে যে কলেজে, সেই কলেজে একটা ছাত্রাবাস নেই, এটা কি আপনাদেরকে লজ্জিত করে না? ......... কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আপনাদের কাছে আহ্বান, বন্ধ হলগুলো খুলে দেয়া এবং নতুন হাজার আসনের হল নির্মাণের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হন। ধন্যবাদ সকলকে।
২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল এখন পর্যন্ত কারমাইকেল কলেজে ছাত্রদের হলগুলি খোলা হয়নি । সময়ের সাথে দাবী উঠেছে রংপুর জেলা ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি ওসমান গনি হল খোলার দাবীতে আন্দোলন শুরু করে । এখন এ আন্দোলন নগরবাসীর সাধারণ মানুষের । জানা গেছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রংপুর কারমাইকেল কলেজ। প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের চারটি ও ছাত্রীদের তিনটি ছাত্রাবাস রয়েছে। ছাত্রীদের হলগুলি যথারীতি খোলা থাকলেও ২০১১ সালের পর থেকে বন্ধ রয়েছে ছাত্রদের ৪টি ছাত্রাবাসই।২০১১ সালের ১৩ জুন স্টাফ কাউন্সিলের এক সভা শেষে ছাত্রদের চারটি ছাত্রাবাসের সকল আবাসিক ছাত্রের সিট বরাদ্দ বাতিল এবং ২০ জুনের মধ্যে ঐ চার ছাত্রাবাসে থাকা ছাত্রদের সব মালপত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ । এর পর থেকেই হলগুলি বন্ধ রয়েছে। সীট বরাদ্দ বাতিলের পরে তৎকালীন কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ দীপ কেন্দ্র নাথ দাস সাংবাদিকদের জানান, কলেজের ৪টি ছাত্রাবাস রয়েছে। যাদের মধ্যে জিএল, ওসমানী, সিএম এই ৩টি ছাত্রাবাসে ইসলামী ছাত্রশিবির ক্যাডাররা অবস্থান করে বিভিন্ন অরাজকতাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল গত দুই দশক ধরে। কেবি ছাত্রাবাস সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য। গত মার্চে (২০১১) ছাত্রলীগ ও শিবির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সবগুলো ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় । অপরদিকে বর্তমানে কলেজে এমন কোন উত্তেজনাকর অবস্থা নেই যে ছাত্রাবাস বন্ধ রাখতে হবে। তাহলে কি কারণে হলগুলি বন্ধ? তাও আবার বছরের পর বছর ধরে । । প্রফেসর ড.শেখ আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বললেন ৪টি হল খুলে দেওয়ার প্রস্তুুতি চলছে । এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ জাসদ সভাপতি ওসমান গনি বলেন যদি আলোচনার মধ্যে দিয়ে হল খুলে দেওয়া না হয় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শান্তিপুর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দাবী আদায় করা হবে ।্
অধ্যক্ষের আমলে এমন সব ঘটনা ঘটছেই একাধারে।
ডঃ দীপ কেন্দ্র নাথ দাস আগের টার্মে অধ্যক্ষ থাকাকালীন সময়ে তাঁর ডানে বামে সব সময়ের জন্য দেখা যেতো শিবিরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে । এমনকি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ছাত্রাবাসে সরস্বতী পূজায় অধ্যক্ষের সাথে থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে শিবির সভাপতি ও সম্পাদককে। আর এখন সেই স্থান দখল করেছে ছাত্রলীগের নেতারা। মূলত অধ্যক্ষের অতি চাটুকারিতাই আজ এই অবস্থার জন্য দায়ী। তিনি কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ কম ছাত্রলীগ নেতাদের নেতা হিসেবেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন। আর এর ফল ভোগ করছে কারমাইকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা। শিবিরের সন্ত্রাসীদের ভয়ে ছাত্রাবাস বন্ধ রাখার দুর্নাম বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে কারমাইকেল কলেজ।
২০১১ সালের ১৩ জুন স্টাফ কাউন্সিলের এক সভা শেষে ছাত্রদের চারটি ছাত্রাবাসের সকল আবাসিক ছাত্রের সিট বরাদ্দ বাতিল এবং ২০ জুনের মধ্যে ঐ চার ছাত্রাবাসে থাকা ছাত্রদের সব মালপত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ । এর পর থেকেই হলগুলি বন্ধ রয়েছে। তারও বছর খানেক পরে আরও একটা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চারটি হলকেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তখন ম্যাডাম ছিলেন প্রিন্সিপাল। পরে আবার নিউজ দেখলাম জিএল হোস্টেলকে সংস্কার করে ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তারপরে আর জানিনা। তবে দেখেছি খানিকটা সংস্কার মনে হয় করেছে। সে যাই ই হোক, এটা ঠিক যে, দীপকেন্দ্র নাথা স্যার থাকাকালীন শিবির ফোবিয়া থেকে হল বন্ধ রাখা হয়েছে। যা খুবই লজ্জাজনক। বিশেষ করে এই সরকারের আমলে। তাও আবার জন্মের পর থেকে সবচেয়ে কঠিন সময় যখন জামাতিরা পার করছে সেই সময়ে। ............ ছাত্র রাজনীতির কাজ কি? ছাত্রদের সমস্যা দেখা, তাই তো? কারমাইকেল কলেজের জাসদ ছাত্রলীগ, আওয়ামী ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, জাতীয় ছাত্র সমাজসহ সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, দেশে কারমাইকেলের মতো একটা মাস্টার্স কলেজ দেখাতে পারবেন যে কলেজে হোস্টেল নাই? আজিজুল হক কলেজ, বিএম কলেজ, তোলারাম কলেজ, এডোয়ার্ড কলেজ, চট্রগ্রাম কলেজ, রাজশাহী কলেজ কোন কলেজে হল নাই? ১৭/১৮ টা বিষয়ে পোড়ান হচ্ছে যে কলেজে, সেই কলেজে একটা ছাত্রাবাস নেই, এটা কি আপনাদেরকে লজ্জিত করে না? ......... কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আপনাদের কাছে আহ্বান, বন্ধ হলগুলো খুলে দেয়া এবং নতুন হাজার আসনের হল নির্মাণের দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হন। ধন্যবাদ সকলকে।