উৎসাহ-উদ্দীপনায় নীলফামারীতে ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৬জুন॥
মাসব্যাপী সিয়ামসাধনা শেষে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার উপেক্ষা করে উৎসাহ-উদ্দীপনা আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশের মতো নীলফামারীর ৬ উপজেলা, ৪ পৌরসভা ও ৬০টি ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঈদগাঁহ ময়দানগুলোয় নামাজ আদায় নিয়ে শঙ্কা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর পবিত্র ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষ্যে মাঠে-ময়দানে ও মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং ধনী-গরিব নির্বিশেষে পার¯পরিক কোলাকুলি ও কুশলবিনিময় করে। প্রতিটি ঈদগাঁ মাঠে পুলিশ ও র‌্যাবের কঠোর নজরকারী রাখা হয়। এ জেলার ওই সব এলাকা সমুহে মোট সাড়ে ৮০০টি ঈদের জামাতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে বলে জানা যায়।
নীলফামারী জেলায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টা ৫মিনিটে শহরের প্রধান ঈদগাঁহ ময়দানে। হাজার হাজার মুসলি¬ অংশ নেন এই ঈদ জামাতে। নীলফামারী বড় মসজিদের পেশ ইমাম মওলানা খন্দকার মো. আশরাফুল হক এতে ইমামতি করেন।
এর আগে বৃষ্টির কারণে সকাল সাড়ে ৮টায় পুলিশ লাইন্স ঈদগাঁ মাঠে পরিবর্তে পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ৯টা ১৫মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সার্কিট হাউস ঈদগাঁ মাঠ, কুখাপাড়া (ধনীপাড়া) ঈদগাঁ মাঠ ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগাঁ মাঠে, সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় জেলা শহরের জোরদরগাঁ ঈদগাঁ মাঠ, মুন্সীপাড়া আহলে হাদিছ ঈদগাঁ মাঠ, কলেজ স্টেশন ঈদগাঁ মাঠে ও গাছবাড়ি পঞ্চপুকুর ঈদগাঁ মাঠে।
এদিকে জেলার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টায় ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নে সবদিগঞ্জ ঈদগাহ মাঠে। এখানে প্রায় এক লাখ মুসল্লি এক সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এই মাঠে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী জেলারসহ ৬০ টি গ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন স্থানের মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করেন। এখানে ঈমামতী করেন মওলানা তছলিম উদ্দিন। তিনি দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে এই ঈদগাঁ মাঠে ঈমামতী করে আসছেন।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জেলা কারাগার, হাসপাতাল, এতিমখানা এবং ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
নীলফামারী কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে হাজারো মুসল্লিদের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। ঈদের জামায়াতের আগে তারা মুসল্লিদের উদ্যোশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া, নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবিব লেলিন, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মারুফ জামান কোয়েল, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী এস.এম সফিকুল আলম ডাবলু প্রমুখ সহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত মানুষ।
অপর দিকে পুলিশ লাইন ঈদগাঁ মাঠে ঈদের জামাত আদায় করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরাফ হোসেন, সদর থানার ওসি বাবুল আকতার, ওসি (তদন্ত) এরশাদ আলম।
এদিকে, নীলফামারী জেলা কারাগারের ভেতরে নামাজ আদায় করেছেন প্রায় ৫০০ জন বন্দি। কারাগারের ভেতরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কারাগারের সুপার নজরুল ইসলাম জানান, প্রতিবার কারাগারের ভেতর একসাথে বন্দিরা নামাজ আদায় করলেও এবারে দুর্যোগের কারণে সেটি হয়নি। তবে কারাগারের স্টাফরা নামাজ আদায় করেন কারা মসজিদে। এখানে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম হাফিজুর রহমান। বন্দিদের উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে জেলা ডিমলা উপজেলা প্রধান ঈদগা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন এলাকার সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, জলঢাকায় একইভাবে সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, সৈয়দপুরে সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 456077466574174931

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item