নীলফামারী জেলায় টিসিবির পণ্য নেই

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ৩ জুন॥
চলমান পবিত্র মাহে রমজানে নীলফামারীর কোথাও টিসিবির ভোগ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে না। আজ রবিবার রোজার ১৭দিন অতিবাহিত হলেও টিসিবি অনুমোদিত এ জেলার ২৫ জন ডিলারের কেউই টিসিবি পণ্য রংপুর থেকে উত্তোলন করেননি। ফলে জেলার কোন স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়নি।
আমরা জানি সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য আপদকালীন মজুদ গড়ে তোলা ও প্রয়োজন অনুসারে ভোক্তাদের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের জন্য ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রয় করে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে নতুন মূল্য তালিকায় টিসিবির পক্ষ থেকে প্রতি কেজি ছোলার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা। বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০ হতে ৯০ টাকায়। বাজারে মসুর ডাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। টিসিবি নির্ধারিত মাঝারি সাইজের মশুরের ডালের দাম ৫০ টাকা। বাজারে ১০০ টাকা সোয়াবিনের লিটার হলেও টিসিবি দর ৮৫ টাকা লিটার।এ দামে তেল কিনতে একজন ক্রেতা ৫ লিটারের ক্যানের একটি প্যাকেজ কিনতে পারবে। যে প্যাকেজে ৫ লিটার তেলের সাথে কিনতে হবে ২ কেজি ছোলা, ৫৫ টাকা দরে ১ কেজি চিনি, ৫০ টাকা দরে ১ কেজি মসুর ডাল। এ ছাড়া খেজুর ১০০ টাকা কেজি দরে ক্রেতা ক্রয় করতে পারবে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিলারদের মধ্যে জেলা সদরে ৭জন, জলঢাকা উপজেলায় দুই জন, ডিমলা উপজেলায় ৩ জন, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ৭ জন, ডোমার উপজেলায় ৪ জন ও সৈয়দপুর উপজেলায় ২ জন সহ মোট ২৫ জন টিসিবির ডিলার রয়েছে। ডিলারদের অভিযোগ বাজার মূল্য আর টিসিবির মূল্য প্রায় সমান। ক্রেতারা বাজার হতেই পণ্য কেনে বেশী। এ ক্ষেত্রে তারা টিসিবির পণ্য ক্রয় করবেনা। এ কারনে ডিলাররা কেউই পণ্য উত্তোলন করেননি।

এ প্রসঙ্গে জেলা সদরের টিসিবির ডিলার অভি এন্টারপ্রাইজেরে সত্যেন্দ্র নাথ রায় বলেন দুটি টাকা লাভের জন্য ব্যবসা করি। বর্তমান বাজার মূল্য আর টিসিবির মূল্য প্রায় সমান সমান। এ ছাড়া রংপুর হতে পণ্য উত্তোলন করে নিয়ে আসতে হবে। এখানে পরিবহন খরচও আছে। তাই লোকসান না করতেই টিসিবির পণ্য উত্তোলন করিনি। অন্যান্য ডিলারাও এমন কথা বলেন।

তবে নীলফামারীর সাধারন মানুষজন বলছে টিসিবির ডিলাররা পণ্য বিক্রি করলে আমরা অবশ্যই ক্রয় করবো। কারন সোয়াবিন তেলের কেজি টিসিবিতে কম। আমরা ৫ কেজি সোয়াবিন ক্যানের সঙ্গে প্যাকেজ পণ্য নিতাম। এতে আমাদের ক্ষতি হতো না বরং লাভই হতো। এ ছাড়া বাজারে প্রকার ভেদে  তিনশত টাকা কেজির নিজে খেজুর পাওয়া যায়না। সেখানে টিসিবির কেজি ১০০ টাকা।

রংপুর টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-উর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিশকাতুল আলম  গণমাধ্যমকে জানান, স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির এই কর্মসূচি গোটা রমজান ঘিরে ডিলারদের মাধ্যমে খোলা বাজারে বিক্রি করা কথা। কিন্তু বর্তমান বাজার দর আর টিসিবির দর একই দাবি করে ডিলাররা পণ্য উত্তোলন করছেনা। কিন্তু হিসাব করে দেখা যাচ্ছে বাজার দরের চেয়ে টিসিরি পণ্য এর মূল্য কম রয়েছে। তবে আমরা ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আমরা নীলফামারীতে টিসিবির পণ্য বিক্রি করার চেস্টা করছি । #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 139413887290981649

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item