অনিয়মের অভিযোগ করায় শিক্ষকদের ভয় দেখিয়ে আবেদনে স্বাক্ষর নিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
গত ২১ মে বিভিন্ন পত্রিকায়  কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযোগকারী প্রধান শিক্ষক ও  সহকারী এক শিক্ষিকাকে অফিসে ডেকে এনে পুর্ব থেকে প্রস্তুতকৃত আবেদনে স্বাক্ষর ভীতি প্রদর্শন ও অসৌজন্যমুলক আচরন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ ও অভিযোগকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত ২১ মে বিভিন্ন পত্রিকায়  কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান পুর্ব দলিরাম উপেন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষিকা ও বর্তমানে  ডিমলা উপজেলার ছাতনাই বালাপাড়া বসুনিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমাতুজ জোহরাকে গত ৩০/৫/১৮  কৌশলে অফিসে ডেকে এনে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ও ওই শিক্ষিকার সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করে পুর্ব থেকে প্রস্তুতকৃত তারিখবিহীত একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
 সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, কাগজে উল্লেক থাকে যে, আমি আমার বদলীর জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে কোন টাকা দেইনি। এ ধরনের লিখিত নিয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেটি মেইলে সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করেন।  কিন্তু আমি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অফিস থেকে বের হয়ে সাথে সাথে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা স্যার সহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছি। এবং সেখানে উল্লেখ আছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বদলির জন্য আমার কাছে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
একই অভিযোগ করেছেন বাহাগিলি ডাঙ্গাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  রেজাউল ইসলাম তিনি বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে কথা বললে  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান , লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। এটা তাঁর উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের বিষয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওসমান গনি বলেন, অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1604518452910109176

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item