সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনকালে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক- বিএনপি সরকারের আমলে রেলওয়ে ছিল অবহেলিত

 তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি বলেছেন বিগত বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশ রেলওয়ে ছিল একেবারে অবহেলিত। সে সময় রেলওয়ের উন্নয়নে কোন রকম উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। বরঞ্চ সে সময় ১৩ হাজার শ্রমিক কর্মচারীকে গোন্ডেল হ্যান্ডশেকের নামে চাকুরিচ্যূত করা হয়েছিল। কিন্ত বিগত ২০১১ সালে ৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য পৃথক একটি রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রেলওয়ের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছেন। সারাদেশের রেলওয়ের নতুন নতুন লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এতে করে গোটা দেশে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর যাত্রীসেবা বাড়াতে বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে নতুন নতুন কোচ ও ইঞ্জিন। কারণ রেলপথ হচ্ছে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী। তাই দেশের মানুষ ট্রেনে ভ্রমন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই এখন ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর আগে ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। তিনি আজ(শনিবার) বেলা ১১ টায় দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথাগুলো বলেন।  সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সম্মেলন কক্ষে ওই মতবিনিময় অনুষ্ঠানের করা হয়। এ সময়  বাংলদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (জিএম) মো. আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত মহা-পরিচালক (আরএস) মো. সামসুজ্জোহা, জিএম (পশ্চিমাঞ্চল) মো. রমজান আলী, প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পশ্চিমাঞ্চল) মো. বেলাল হোসেন সরকারসহ রেলওয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মো. আখতার হোসেন বাদল, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা মো. মোখছেদুলণ মোমিন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মন্ত্রী রেলওয়ের জনবল সংকটের কথা জানিয়ে বলেন বর্তমান সরকারের আমলে জনবল সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রতি বছর বছর রেলওয়েতে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে বিভিন্ন পদে ৮ হাজারেরও বেশি লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেন সংকট কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লোক নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন্ করেও মামলার কারণে তা স্থগিত করতে হয়। এতে করে লোক নিয়োগে মারাত্মক স্থবিরতা দেখা দেয়। তারপরও নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সীমিত সম্পদের মধ্যেও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের পারফর্মেন্স  অনেক ভাল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,গত ঈদে এ কারখানার ৮৫টি বগি মেরামত করা হয়। এ বছর সে সংখ্যা ৯০ টির বেশি ছাড়িয়ে বলে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। অতি শীঘ্রই সৈয়দপুর কারখানায় মেরামত করা ১৪টি কোচ দিয়ে আরো একটি আন্তঃনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হবে। আর ইঞ্জিন ও বগির স্বল্পতা কেটে গেলে যত তাড়াতাড়ি আরও একটি আন্তঃনগর নীল সাগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভারতীয় ঋণে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার আরো আধুনিকায়ন করাসহ একটি নতুন কোচ তৈরির কারখানা নির্মাণ করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন আগে রেলওয়ে খাতে বার্ষিক বরাদ্দ ছিল ৫ শ’ কোটি টাকা। এখন এ বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকায়। এর আগে মন্ত্রী কারখানা প্রবেশে করেই ক্যারেজ সপে স্থাপিত এয়ার ব্রেক সেকশনের ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন। পরে মন্ত্রী কারখানার ক্যারেজ শপসহ অন্যান্য শপে পুনঃনির্মাণ করা বগিগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলো কাজ সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় মন্ত্রী বগিগুলোর নির্মাণ কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কারখানায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রশংসা করেন। এরপর  মন্ত্রী ‘৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর হাতে কারখানার অভ্যন্তরে নিহত শহীদদের স্মরণে নির্মিত ‘অদম্য স্বাধীনতা’ শহীদবেদীতে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে মন্ত্রীর সামনে ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠার অতীত ইতিহাস, সার্বিক কার্যক্রম ও বর্তমানে বিদ্যমান নানা সমস্যা ও সম্ভাবনাসমূহ তুলে ধরা হয়। এটি উপস্থাপনা করেন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই- খুদা।
পরে মন্ত্রী কারখানার ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা মিলিত হন। এতে নেতৃত্ব দেন রেলওয় শ্রমিক লীগ সৈয়দপুর কারখানার কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মোখছেদুল মোমিন।
এর আগে সকালে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ঢাকা থেকে আকাশপথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন। পরে তিনি দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কেলোকা) পরিদর্শন করেন।  







পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4148183219812275129

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item