পীরগাছায় বাদামের বাম্পার ফলন

ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)

উৎপাদর খরচ কম, অধিক ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় রংপুরের পীরগাছায় দিন দিন বাড়ছে বাদামের চাষাবাদ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৩০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বিশাল চরাঞ্চলে। দুটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কৃষকরা চিনাবাদাম চাষ করে আত্মনির্ভশীল হয়ে উঠছে। লাভ জনক হওয়ায় চিনাবাদাম চাষে ঝুকছেন কৃষকরা। বাদাম চাষীরা জানান, বাদাম লাগানো শেষ হয়েছে অনেক আগেই তাই বাদাম ক্ষেত সবুজে ছেয়ে গেছে। তারা আরো জানান, প্রতি বছরেই কিছু কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায় তাই এবারে আগাম বাদাম লাগানো হয়েছে।  যাতে পানি আসার আগেই বাদাম ক্ষেত থেকে তোলা যায়। সাধারনত আষাঢ় মাসের মধ্যেই বাদাম তোলা শেষ হয়ে থাকে। কৃষকরা ন্যুনতম উৎপাদন খরচ এবং সহজ চাষ পদ্মতির জন্য চিনাবাদাম চাষের ক্ষেত্রে আরো আগ্রহী হয়ে উঠছে। প্রতিবছর বাদাম চাষের আওতায় জমি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বাদাম চাষি ও কৃষি কর্মকর্তারা জানান। চিনাবাদামের চাষ বিপুল চাহিদার সঙ্গে বাজারে উচ্চ মূল্যে কৃষকরা উৎসাহী হয়ে উঠছে। তাম্বুলপুর চরাঞ্চলের কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা গত কয়েক বছর যাবত চিনাবাদাম চাষ করছি তাতে আমরা ভালো ফলনের সাথে অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হয়েছি। এ বছর আমরা আরো অধিক জমিতে চিনাবাদাম চাষ করেছি। ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেবচর গ্রামের কৃষক হাসেন আলী জানান, তিনি এবার ২ বিষা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। এতে তিনি বিঘা প্রতি ১০থেকে ১৫ মণ বাদাম পাবেন বলে আশা করছেন। তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চররহমত গ্রামের আশরাব আলী জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে আমি হাইব্রিড জাতের বাদাম আবাদ করেছি। বাজারে বাদামের দাম যা দেখেছেন তাতে ভাল লাভ হবে। বাদাম আবাদে সেচের তেমন প্রয়োজন হয়না।  কীটনাশক খরচ কম। নিড়ানির তেমন প্রয়োজন না হওয়ায় শ্রমিক খরচও কম হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় আমরা চিনাবাদাম চাষে কৃষকদের আগ্রহী করার চেষ্ঠা করছি।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2250641593915278227

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item