সৈয়দপুর কলেজ সরকারিকরণে স্থাবর- অস্থাবর সম্পদের দানপত্র দলিল সম্পাদিত


 তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারী জেলার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম সৈয়দপুর কলেজ সরকারিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সকল স্থাবর -অস্থাবর সম্পদের দানপত্র দলিল সম্পাদন হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের অনুকুলে ওই দানপত্র দলিল সম্পাদন করা হয়।
বেলা আড়াইটায় কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দানপত্র দলিল সম্পাদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দানপত্র দলিলে স্ব স্ব স্বাক্ষর করেন সৈয়দপুর কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও  নীলফামারী -৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শওকত চৌধুরী এবং সৈয়দপুর কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন। আর  দলিল সম্পাদন করে সৈয়দপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রার মো. আজমল হোসেন।
  এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন,উপজেলা আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস্ সামাদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মো. আখতার হোসেন বাদল, পৌর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হকসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতারা, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মো. আফছার হোসেন মিয়া, অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. বখতীয়ার কবিরসহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুধীজন, সাংবাদিক এবং কলেজ গভর্নিং বডির সকল সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর কলেজের সর্বমোট ১৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩৩৭ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর  রয়েছে। যা দানপত্র দলিলের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে হস্তান্তর করা হয়। এ সবের মধ্যে রয়েছে কলেজের ১১ দশমিক ৬৯ একর জমি। যার মূল্য ৬ কোটি এক লাখ ৭৮ হাজার ৩৮ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ভবনের মূল্য ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ২১ হাজার ৪শ’ টাকা এবং  বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ ও আসবাবপত্রের মূল্যবাবদ ধরা হয় ৭০ লাখ ৭ হাজার ৪৬৯ টাকা। এছাড়াও কলেজের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে স্থিতি থাকা টাকা রয়েছে ৯০ লাখ ৪১ হাজার ৪৩০ টাকা।
 প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি  বেসরকারি কলেজ ও একটি  বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের ঘোষনা দেয়। সে অনুযায়ী নীলফামারীর জেলা সৈয়দপুর উপজেলার প্রাচীনতম সৈয়দপুর কলেজ ও সৈয়দপুর তুলশীরাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অগ্রাধিকার পায়। সরকারিকরণ প্রক্রিয়ার শর্তানুসারে তুলশীরাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে রেজিষ্ট্রেশন করে দেওয়ার কাজটি সুসম্পন্ন হয়। কিন্তু নানাবিধ জটিলতার কারণে ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম সৈয়দপুর কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের বরাবরে রেজিষ্ট্রেশনের কাজটি বাঁধাগ্রস্থ হয়। এ অবস্থায় সৈয়দপুর কলেজটি সরকারিকরণের প্রক্রিয়া দানপত্র দলিল সম্পাদন স্থগিত করা হয়।। এতে করে কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারী ও সৈয়দপুরবাসী হতাশ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে সরকারিকরণের সৃষ্ট বাঁধা দূরীকরণে সংশ্লিষ্টরা তৎপরতা হয়ে উঠেন। অবশেষে সকলেই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেই বাঁধা অপসারিত হয়েছে।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের নির্দেশে বেসরকারি কলেজ সরকারিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নীলফামারীর সৈয়দপুর কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর দলিল সম্পাদন কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সাথে সৈয়দপুর কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাবরে রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়ার নিদের্শনা দেয়া হয়। জরুরীভিত্তিতে রেজিষ্ট্রিকৃত দানপত্র দলিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের দানপত্র দলিল সম্পাদন করা  হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 8084061370307521830

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item