পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং-সৈয়দপুরে মাদক সিন্ডিকেটের গুলিতে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত

বিশেষ প্রতিনিধি ২২মে॥ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী  যুবক প্রতিপক্ষ  মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (২১মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাইপাস মহাসড়ক সংলগ্ন গোলাহাট বধ্যভূমি এলাকায় ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১২৩ পিস ইয়াবা ও ১২টি ককটেল, ৩টি দেশীয় অস্ত্র ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সময় মাদক ব্যবসায়ীদের বিস্ফোরিত ককটেলের আঘাতে সৈয়দপুর থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) সহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে উক্ত ঘটনায় নীলফামারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এক প্রেস ব্রিফিং-এ নিহত দুইজনের পরিচয় তুলে ধরে জানায় এরা হলো সৈয়দপুর পৌর শহরের ইসলামবাগ মহল্লার আব্দুল হান্নানের ছেলে শাহিন (২৮) ও নিচু কলোনী মহল্লার ইউসুফ হোসেনে ছেলে মোঃ জনি (২৩)।
পুলিশ সুপার বলেন, নিহত দুই মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়নি। তারা  প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটে দলের বন্দুকের গুলিতে নিহত হয়। কারন পুলিশ সে সময় সর্টগান ব্যবহার করেছিল। নিহতদের শরীরে বন্দুকের গুলি পাওয়া গেছে।
নীলফামারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই প্রেস ব্রিফিং আরো বলা হয়,জনি ও শাহিন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের নামে সৈয়দপুর থানায় ৮টি সহ বিভিন্ন থানায় ১০/১২ টি করে মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে সোমবার সন্ধ্যায় ওই দুইজনকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি হতে আটক করা হয়েছিল। তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের জসিমবাজার গ্রামের জোবাইলদুল হকের ছেলে জসিয়ার রহমান(৩০) ও একই উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বোতলাগাড়ী গ্রামের বাফাজ উদ্দিনের ছেলে নুর বাবু(৩৩) গোলাহাট এলাকায়  মাদকের একটি বড় চালান লুকিয়ে রেখেছে। যা গভীর রাতে পাচার করা হবে। ওদের কাছ হতে তারা ইয়াবা, ফেন্সিডিল, বিদেশী মদসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য ক্রয় করে এলাকায় বিক্রি করে।
তাদের কথামতো সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পালের নেতৃত্বে তাদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ গোলাহাট বধ্যভুমি এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত আড়াইটার দিকে অপর দুই মাদক ব্যবসায়ী জসিয়ার ও নূর বাবু তাদের দলবল নিয়ে প্রথমে পুলিশের উপরের বিক্ষিপ্তভাবে কককেট নিক্ষেপ করে বিস্ফোরন ঘটনাতে থাকে। এরপর তারা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি চালালে পুলিশও বাধ্য হয়ে সর্টগানের গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এই সুযোগে আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী জনি ও শাহিন পালানোর সময় অপর মাদক সিন্ডিকেটের গুলিতে তারা নিহত হয়। এরপর ওই মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তবে তাদের ককটেলের আঘাতে আহত হয়  সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াদুদ রহমান ও কনস্টেবল মোর্কারম হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম সহ ৩ পুলিশ সদস্য। তাদের সকলকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শর্যা হাসপাতালে নেয়া হলে কতব্যরত চিকিৎসক জনি ও শাহিনকে মৃত ঘোষনা করে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। 
পুলিশ সুপার আরো জানান ঘটনাস্থল হতে মাদক ব্যবসায়ী জসিয়ার রহমান ও  নুর বাবু ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল, ১২৩ পিস ইয়াবা, তিনটি দেশীয় অস্ত্র, ১২টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। প্রেস বিফ্রিং-এ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, ডিআইও আব্দুল মোমেন, সদর থানার ওসি বাবুল আকতার প্রমুখ।
এদিকে এ ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী জসিয়ার ও নূর বাবুকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চিরুনী অভিযান শুরু করেছে বলে জানান  সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল। তিনি বলেন ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীর গুলিতে শাহীন ও জনি  নিহত হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা বলেন জেলার মর্গে নিহত দুইজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4025427826222962492

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item