কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে অখন্ড রেখে সংসদীয় আসন পুর্ণবিন্যাস করায় পাল্টে গেছে রাজনৈতিক চিত্র

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েকমাস বাকি থাকলেও নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা। গত ৩০ এপ্রিল নিবাচর্ন কমিশন কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে অখন্ডিত রেখে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর উপজেলার একটি পৌরসভাসহ  ৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে নীলফামারী ৪ আসন ঘোষনা করে গেজেট প্রকাশ করায় পাল্টে গেছে কিশোরগঞ্জ উপজেলার রাজনৈতিক চিত্র।
সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ভোটার ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের ২২ টি আসন জাতীয় পার্টির ভোট  ব্যাংক হিসাবে পরিচিত থাকলে গত কয়েক বারের সংসদ নির্বাচনে রংপুরে জাতীয় পার্টির ব্যাপক ভরাডুবি ঘটে। রংপুরে জাতীয় পার্টির হারানো আসনগুলো পুনরুদ্ধার করতে জাতীয়পার্টি আওয়ামীলীগের সাথে মহাজোট করে গত  নির্বাচনে অংশ নেয়।   সেই সুবাধে ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচন না করার কারনে মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে বিনা প্রতিদন্ডিতায়  নীলফামারী ৪ আসনে এমপি নির্বাচিত হন শওকত আলী চেীধুরী। বর্তমানে আগামী  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দপুরের ৫ টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার আগের ৬ টি ইউনিয়নের সাথে নীলফামারী ৩ আসনের সাথে যুক্ত থাকা কিশোরগঞ্জ উপজেলার   পুটিমারী, রণচন্ডি, ও বড়ভিটা ইউনিয়ন তিনটি নীলফামারী ৪ আসনের সাথে যুক্ত হওয়ায় এই আসনে নির্বাচনের চিত্র পাল্টে গেছে। ফলে আগামী  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দপুরের চেয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ভোট বেশি হওয়ার কারণে কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির একাধিক নেতা নির্বাচনী মাঠ দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। 
বর্তমানে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে আগামী  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার ফেস্টুন, লাগিয়ে ভোটারদের মন জয় করাসহ  দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল, সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বাহাগিলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আতাউর রহমান শাহ দুলু,  স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা। জাতীয়পার্টি থেকে মনোনয়ন চান কিশোরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পাটির  সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য ডঃ আসাদুর রহমানের ছেলে ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু এইচ এম এরশাদের ভাগিনা ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদিল। বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম।
 সাবেক  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল বলেন, আমার বাপ দাদা পুর্বপুরুষরা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আমি দীর্ঘদিন থেকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি । তাই অবহেলিত কিশোরগঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থে দলীয় মনোনয়ন চাইব।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বাহাগিলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আতাউর রহমান শাহ দুলু বলেন, আমি বাহাগিলি ইউনিয়ন পরিষদে দ্বিতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। অতীতে অনেকেই এমপি হয়ে কিশোরগঞ্জের উন্নয়ন ঘটাতে ব্যার্থ হয়েছে তাই আমি আগামীতে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কিশোরগঞ্জের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে সহায়ক ভুমিকা রাখতে চাই।
নীলফামারী ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডঃ আসাদুর রহমানের ছেলে ও জার্তীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ভাগিনা  পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদিল বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে পার্টির চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি নীলফামারী ৪ আসনের এমপি প্রার্থী হিসাবে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছি।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা জার্তীয়পার্টির সভাপতি রশিদুল ইসলাম বলেন, আমি গতবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। আমি আগামী নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে কিশোরগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।
এদিকে সৈয়দপুর থেকে (নীলফামারী ৪ আসনে) নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেন বাদল, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির  সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সেকেন্দার আলী, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবি  ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির সদস্য আমেনা কোহিনুর, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করবেন বলে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপর দিকে বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে চান বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক  সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন, সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলার সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন সরকার বিএনপির প্রার্থী হিসাবে জোর প্রচারনা চালাচ্ছেন।  অন্যদিকে সৈয়দপুর উপজেলা থেকে নীলফামারী ৪ আসনের  বর্তমান সংসদ সদস্য ও নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক শওকত চেীধুরী  আগামী  নির্বাচনে নিজেকে জার্তীয় পার্টির প্রার্থী পরিচয় দিয়ে সভা সেমিনার সহ দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য শওকত আলী চৌধুরী বলেন, আগামী  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে দলের সাথে জোট হোক না কেন জাতীয়পার্টি থেকে আমাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। কারন আমি বর্তমান সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জের অভুতপুর্ব উন্নয়ন সাধন করেছি। তাই জনগন আমার সাথে রয়েছেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7394877268751540088

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item