কুড়িগ্রামের রৌমারীর বিট-খাটাল করিডোর বন্ধ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

হাফিজুর রহমান হৃদয়,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা শৌলমারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় সাহেবের আলগা বিওপি সংলগ্ন বিট-খাটাল করিডোর বন্ধ থাকায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।পাশাপাশি ভারত থেকে আসা গরু করিডোর না হলেও চোরাপথে গরু পার করে দিয়েসুবিধা নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ একটি স্বার্থান্বেষীমহল। প্রতি বছর করিডোরটি ইজারার সময় শেষ হলে বিভিন্ন কৌশলে ইজারা বন্ধ রেখে এভাবে একমাস, দুইমাস এমনকি ৭ মাস পর্যন্ত করিডোর ছাড়াই চোরাই পথে গরু পারাপার করে অর্থ উপার্জন করে আসছে এই মহলটি।চলতি বছরের গত ১৪ এপ্রিল বিট-খাটাল ইজারার মেয়াদ শেষ হলে কুচক্রী মহলটির তৎপরতাসহ আবারো চোরাই পথে শুরু হয়েছে গরু পারাপার।এতে করে মাঝে মধ্যেই গরু বিজিবির হাতে ধরা পরলে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় মন্ত্রনালয় কর্তৃক বিগত ২০১১সালের ৫ র্মাচ বিট-খাটাল পরিচালনার করার ইজারা বা অনুমোদন পান কুড়িগ্রামের দিলরুবা সানজিদা ট্রেডিং কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আল মামুন দুলাল ইবনে আকবর।পরিপত্র অনুযায়ী প্রতি বছর অনুমোদন নবায়ন করে নিতে হয়। সেই সাথে নতুন করেযে কেউ বিধি মোতাবেক আবেদন করতে পারেন। ইজারাদারের মাধ্যমে বিজিবি’র সহায়তা কাষ্টমস্ এর কর্তক সীমান্ত পথে আসা প্রতিটি গরু করিডোর করে ছেড়ে
দেয়া হয়।কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকেই বছর শেষ হলে স্বার্থান্বেষী মহলটি তৎপরতাচালিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য ইজারা বিলম্বিত করতে থাকে। এতে করে নতুন করে ইজারা না হওয়া পর্যন্ত বিজিবি গরু পারাপার বন্ধ ঘোষনা করে। কিন্তু ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হয় না। প্রতিদিনই প্রায় ঐ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৮০টিথেকে ১শটি করে গরু আসতেই থাকে। আর এসব গরু বিভিন্ন চোরা পথে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে মহলটি।বিট-খাটাল এলাকার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিট-খাটাল করিডোরের নবায়ন ও নতুন আবেদনের সময় হলে এখানকার একটি কুচক্রি মহল বিট-খাটাল করিডোরটি মন্ত্রনালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে দিবার কথা বলে নতুন আবেদন কারিদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করে।
ঐ চক্রের প্রথম কাজ হচ্ছে চলমান প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেওয়া। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজসে সময় মত নবায়ন না দিয়ে কাল ক্ষেপন করেবিট-খাটাল করিডোর বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করা।পরে বিজিপির যোগসাজসে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বাইপাস করা হয় বিট-খাটালের গরু। অন্যদিকে রৌমারী, কুড়িগ্রাম ও ঢাকায় যাওয়া আসা অফিস আদালতের খরচ দেখিয়ে নতুন আবেদন কারিদের কাছ থেকেমোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় ওই চক্রটি।
তিনি আরও বলেন, চক্রটির মুল হোতা ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মন্ডল ওইউপি সদস্য শাহিন আহম্মেদ।
গরু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামসহ অনেকে বলেন, সাহেবের আলগা ক্যাম্পের বিজিবির পাইলট নামে খ্যাত শুকুর, মজনু, সাগর ও মিস্টার আমাদের কাছে গরু প্রতি৫শ’করে টাকা উঠায়। টাকা নেওয়ার পরেও মাঝে মধ্যে বিজিবি গরু আটক করে। এতে
আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মধ্যে পরে যাই। সিমান্ত থাকলে গরু আসবেই। তাইসরকারের কাছে আমাদের দাবী দ্রুত বিট-খাটাল চালু করুক। বিট খাটাল চালুথাকলে সরকার রাজস্ব পায় আমরা নিশ্চিতে ব্যবসা করতে পারি।
রৌমারী আবগারী ও শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানাযায়, প্রতি বছর সাহেবের আলগাবিট-খাটাল থেকে এক থেকে দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়।সাহেবের আলগা বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুর সবুর পাইলট
দারা টাকা নেওয়ার কথা অস্বিকার করে বলেন, বিট-খাটাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরআমি গরু ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দিয়েছি তারা যেন চোরাই পথে গরু না নিয়ে আসে।গরু আনলে আমি গরু ধরে সিজার করে দিব। গত ২৭ এপ্রিল রাতে ৪টি গরু ধরেসিজার করেছি।তিনি আরও বলেন, বিট-খাটাল বন্ধ হওয়ার পর থেকে রাতের অন্ধকারে ব্যবসায়ীরা
গরু নিয়ে নদী পথে চলে যায়। আমাদের জনবল কম থাকায় তাদের ঠেকাতে পারি না। এবিষয়টা আমি আমাদের অর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বীপঙ্কর রায় বলেন, গত ২৬
এপ্রিল উপজেলা টাস্কর্ফোস কমিটির সভা হয়েছে । সভায় একটি নবায়ন ও দুটিনতুন আবেদন পেয়েছি যা জেলায় পাঠানো হবে। জেলা টাস্কর্ফোস কমিটি সভা করেমন্ত্রনালয়ে পাঠাবে। অনুমোদন দেয়ার দায়িত্ব মন্ত্রনালয়ের।

পুরোনো সংবাদ

কুড়িগ্রাম 4503052402646490093

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item