প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীদের মানবেতর জীবন

 মোঃ শামীম হোসেন বাবু, কিশোরগঞ্জ,(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার একমাত্র কারিগরী মহিলা মহাবিদ্যালয়টি প্রতিষ্টার ১৩ বছর পেড়িয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন এ কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা। দীর্ঘকাল বিনাবেতনে কাজ করে  পরিবার পরিজন নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তারা।
 কারিগরী মহিলা কলেজ সুত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের বিশিষ্ঠ সমাজসেবক ও বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মনসের আলী  সমাজের নারীদের কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ৫০ শতাংশ জমির উপর  এলাকার সকলের সহযোগিতায় কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পরের বছরই বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড থেকে কলেজটিতে ছাত্রী ভর্তির অনুমতি প্রদান করেন। এবং  ২০১২ সালের ৮ জুন বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড কলেজটিকে  একাডেমিক স্বীকৃতি দেয়। সেই থেকে কোন বেতন ভাতা ছাড়াই শিক্ষক কর্মচারীরা কলেজটিতে শিক্ষকতা করে আসছেন। এ এলাকার নারী শিক্ষার্থীদের কারিগরী শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে হলে অনেক পথ পারি দিয়ে রংপুর কিংবা দিনাজপুরে যেতে হতো। কিন্তু কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর এলাকার নারীরা বাড়ির কাছেই উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে পারছেন। বর্তমানে কলেজটিতে ১৫জন শিক্ষক ও কর্মচারী বিনা বেতনে চাকরী করে আসছেন। কলেজটিকে বাংলাদেশ কারিগরী বোর্ড কতৃক নির্ধারিত কম্পিউটার ও হিসাবরক্ষন বিভাগে ১৬০ টি আসন নির্ধারিত থাকার কারনে ১৬০ টি আসনে ছাত্রী ভর্তি হয়। এছাড়াও আসন নির্ধারিত থাকার কারনে অনেকই ভর্তি হতে পারেনা।
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চাঁন্দেরহাট ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আতাউর রহমান শাহ বলেন, বর্তমানে এলাকার অসহায় দরিদ্র নারীরা বাড়ির কাছেই কারিগরী কলেজ থাকায় এখান থেকে কারিগরী শিক্ষা লাভ করছে।  ফলে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা ভুমিকা রাখতে পারবে।
মহিলা কারিগরী কলেজের কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষক ও দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদদতা শামীম হোসেন বাবু  বলেন, কলেজটি প্রতিষ্টার পর থেকে আমরা বিনা বেতনে চাকুরী করে আসছি। ফলে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। তাই বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন যাতে কলেজটি তাড়াতাড়ি এমপিওভুক্ত হয়।
কিশোরগঞ্জ কারিগরী মহিলা কলেজের অধ্যাক্ষ সুজাউদ্দৌলা লিপটন বলেন, বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে বাংলাদেশ সরকারের ভিশন বাস্তবায়ন করার জন্য নারীদের কারিগরী শিক্ষা অত্যান্ত প্রয়োজন। তাই এলাকার নারীদের কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে বিনা বেতনে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
এদিকে সরকারী বেতনের আশায় কলেজের শিক্ষকরা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের পরিশ্রমের ফলে প্রতিবছর  এ কলেজ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করে।  ২০১৭ সালে চলতি এইচ এস সি (বিএম) থেকে ১১২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১১২ জনই পাশ করেছে। এর মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে  ৬ জন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 5507607055655907669

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item