ফুলবাড়ীতে আশানুরুপ ধান ফলন হলেও শ্রমিক সংকট ও মুল্য নিয়ে শংকায় কৃষক

মেহেদী হাসান উজ্জল ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আগাম বৃষ্টি ও ক্ষণে ক্ষণে বৈশাখী ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করেই পুরোদমে শুরু হয়েছে ইরি-বোরো
ধান কাটা-মাড়াই। আশানুরুপ ধান ফলন হলেও শ্রমিক সংকট ও মুল্য নিয়ে শংকায় কৃষক।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ মৌসুমে উপজেলার  ১৪ হাজার ৭ শত ৫০ হেক্টর জমিতে ৮৪ হাজার ৭৫ মেট্রিকটন ধান ফলনের লক্ষমাত্রা নিয়ে ধান চাষ আবাদ হয়েছে।

কৃষকের ঘাম ঝরানো প্রত্যাশিত ইরি-বোরো ধান ঘরে তোলা শুরু হলেও অসময়ের বৃষ্টি ও শ্রমিক সংকটসহ ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় নতুন ধান উঠার আনন্দ যেন, এখন হতাশার বালুচর। শ্রমিক সংকটের কারনে চড়া মূল্যে ধান কাটা-মাড়াইয়ের খরচ মিটিয়ে ঘরে ধান না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়ছে এই এলাকার অধিকাংশ কৃষক ।

উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক মাহাবুর রহমান জানান, এই মুহূর্তে আগাম জাতের বগুড়ার জিরা,ব্রি-২৮ এবং হাইব্রিড ধান কাটা-মাড়াই চলছে। তবে ঘনঘন বৃষ্টির কারনে বাড়তি মজুরীতে ধান কাটা-মাড়াই করে কোনো ভাবেই খরচ মেটানো সম্ভব হচ্ছেনা। গত বছরের তুলনায় এবার ইরি-বরো মৌসুমের শুরুতেই ধানের দর বস্তা প্রতি প্রায় ২শ থেকে ৩শ টাকা কমে প্রতিবস্তা নতুন ধান প্রায় ১৩শ থেকে ১৪শ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে । ধানের মুল্য কম থাকায় উৎপাদন খরচ না উঠার আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষক। তিনি আরো বলেন,অসময়ের বৃষ্টি এবং শিলা বৃষ্টির কারণে একদিকে যেমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে অপরদিকে বাজার মূল্য কম হবার কারনে কৃষক কোনো ভাবেই ব্যয় মিটাতে পারছেনা। একই কথা বলেন উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের মাদিলাহাট গ্রামের কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম,চিন্তামন রাধিকাপুর  গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান ও সুজাপুর গ্রামের কৃষক সাজু ফকির।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,বিস্তীর্ন মাঠ জুড়েই কেবল হলুদের ছটা,কিন্তু ফসলের ক্ষেতে হাঁটু পর্যন্তু পানি থাকায় কৃষক তার মাঠের ধান ঘরে আনতে বেশ সম্যসায় পড়ছে। অন্যদিকে উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের নারায়নপুর, লক্ষীপুর, মহাদীপুর, আর্দশগ্রাম, গড়পিংলাই, জয়নগর, বারাই পাড়াসহ ১২টি গ্রামে বৃষ্টির পানিতে ৭৭২ হেক্টর জমির মধ্যে ৮০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। এতে দেশেহারা হয়ে পড়েছে ঐ এলাকার কৃষকরা।

কৃষকের ঘাম ঝরানো উৎপাদিত এই ইরি-বোরো ফসলের আশানুরুপ ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও বৈশাখের শুরুতে পরপর শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায়র কারনে আরও বেশী হতাশ করছে কৃষককে । এতকিছুর পরেও কৃষক এখন তার  কষ্টের ইরি-বোরো ফসল ঘরে আনার কাজে দিনভর বোরো ক্ষেতের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এটিএম হামীম আশরাফ বলেন,অবহাওয়ার কারনে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে তবে অবহাওয়া সাভাবিক থাকলে এ সমস্যা থাকবে না। গতবছরের তুলনায় এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে সময়মত কৃষরা তাদের ধান ঘরে তুলতে পারলে উপজেলার ১৪ হাজার ৭শত ৫০ হেক্টর জমিতে ৮৪ হাজার ৭৫ মেট্রিকটন ধানের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে তা পুরন সম্ভব হবে। কৃষকদের যে কোনো সমস্যায় সহয়াতা দিতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সবসময় ততপর রয়েছে।জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যাওয়া ধান গুলোর বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ী সমাধান হবে বলে তিনি আশা ব্যাক্ত করেন।

পুরোনো সংবাদ

দিনাজপুর 5999344016591059836

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item