সৈয়দপুরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান বই মেলা শুরু

তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর সৈয়দপুরে শুরু হয়েছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান বই মেলা। “বই কিনুন, বই পড়–ন, আলোকিত মানুষ হোন”  প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে ওই ভ্রাম্যমান বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ২ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে (পুরাতন ভবন) বই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে বই মেলার শুভ উদ্বোধন করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ।
এ সময় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেনসহ শহরের কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।।
মেলা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তিন দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান বই মেলায় ১৭০ টি প্রকাশনা সংস্থার প্রায় ১০ হাজার বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে। দেশি বিদেশী লেখকদের বিভিন্ন বিখ্যাত উপন্যাস, গল্প, রম্য রচনা, কবিতা, ভ্রমন কাহিনী, নাটক, শিশুতোষ, প্রবন্ধ, সায়েন্স ফিকশন ভৌতিক উপন্যাস, রূপকথা, অনুবাদগ্রন্থ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা বিষয়ক, রান্না বিষয়ক, কম্পিউটার, ভাষা শেখা বইসহ নানা ধরনের বই পাওয়া যাচ্ছে ভ্রাম্যমান ওই বই মেলায়।
গতকাল শনিবার বিকেলে ভ্রাম্যমান বইমেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শহরের স্কুল-কলেজের বিভিন্ন বয়সী  শিক্ষার্থীরা বই কিনতে ও দেখতে এসেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এসেছেন একাকী। কেউবা এসেছেন বাবা-মা,ভাই বোনের সঙ্গে। এ সময়  বই মেলা বই দেখছিল সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী কানিজ সুবর্ণা। তাঁর সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, তাঁর বাবার কাছ থেকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আজকের ভ্রাম্যমান বই মেলার আয়োজনের কথা শুনে বই কিনতে এসেছে। তাঁর  বাবা মুহাম্মদ কুদরত-ই -খুদা
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস)। সুবর্ণা তাঁর মা ও বড় বোনের সঙ্গে বই মেলায় এসেছিল। সে জানায় ছোটদের বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে তাঁর ভাল লাগে।
 সৈয়দপুর সরকারী কারিগরী কলেজের দশম শ্রেণীর ‘খ’ শাখার শিক্ষার্থী মো. ইসমাম রহমান। সে বিদ্যালয় ছুটির পর পরই বই মেলায় বই কিনতে এসেছে। সে জানায়, হুমায়ুন আহম্মেদ তাঁর প্রিয় লেখক। কৌতুকের বই পড়তে তাঁর ভাল লাগে। একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একই শ্রেণীর ছাত্র মো. ফেরদৌস হাসান। সে জানায়, তাদের কলেজের প্রতি রবিবার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান গাড়ীতে বই নিয়ে আসে। সেখান থেকে সে নিয়মিত বই সংগ্রহ করে পড়ে। গোয়েন্দা কাহিনীর বই তাঁর প্রিয়। তারা উভয়ে বই মেলার মাইকিং শুনে বই কিনতে এসেছে বলে জানায়।
সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র তামিম হোসেন থাকেন কলেজ হোস্টেলে। গত শুক্রবার সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে জুম্মার  নামাজ পড়তে এসে সে বই মেলার কথা জানতে পারে। গতকাল শনিবার সে বই কিনতে আসে ভ্রাম্যমান বই মেলায়। সে জানায়, সায়েন্স ফিকশন বই সে বেশি পড়ে।    
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান,  তিন দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান বই মেলা প্রতিদিন বিকেল ২টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চলবে আগামী সোমবার পর্যন্ত (৩০ এপ্রিল)।
  এতে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বইয়ে শতকরা ত্রিশ ভাগ, বাংলাদেশী  অন্যান্য প্রকাশনীর বইয়ে শতকরা ২৫ ভাগ এবং ভারতীয় বইয়ের গায়ে লিখিত দামের এক রুপী অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় দেড়গুন দামে বিক্রি হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি 6027411160431771190

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item