নানা আয়োজনে গভীর শোক- শ্রদ্ধায় সৈয়দপুরের স্থানীয় শহীদ দিবস পালিত

  তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

আজ বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে গভীর শোক - ও শ্রদ্ধায় এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নামের গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়ে পালিত হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের স্থানীয় শহীদ দিবস। একাত্তরের ১২ এপ্রিল সৈয়দপুরের নিহত শহীদদের স্মরণে প্রতিবছর এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
 মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ’৭১ সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখার গৃহিত দিবসের দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শহরের সকল বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, শোকর‌্যালি,  মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নামের গেজেট প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন, স্মরণ সভা, মিলাদ মাহফিল এবং মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা।বেলা ১১ টায় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন হয়।  এ সময় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নামের গেজেট প্রকাশের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পাঠানোর জন্য একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তানের সংগঠন প্রজম্ম ’৭১ সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখার পক্ষ থেকে দেওয়া ওই স্মারলিপিটি গ্রহন করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ । স্মারকলিপি প্রদান শেষে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নুরুজ্জামান জোয়ারদার, প্রজন্ম ’৭১ এর সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, শহীদ পরিবারের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বাবু, লিয়াকত হোসেন লিটন, এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু প্রমূখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সৈয়দপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় থেকে একটি শোক র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।  এতে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ, শহীদদের সন্তান, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। র‌্যালী শেষে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।
 প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শহরের দেড় শতাধিক বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, সমাজসেবী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সৈয়দপুর সেনানিবাসে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। এরপর ’৭১ এর  ১২ এপ্রিল তাদের  চোখ মুখ বেঁধে রংপুর সেনানিবাসের দক্ষিণে নিসবেতগঞ্জ এলাকায় ঘাঘট নদীর বালুচরে নিয়ে গিয়ে ব্রাশ ফায়ারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। 


  স্মরণ সভায়  সভাপতিত্ব করেন প্রজম্ম ’৭১  সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখার সভাপতি এ এ এম মঞ্জুর হোসেন। স্মরণ সভাটি পরিচালনা করেন জোবায়দুর রহমান শাহীন।


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8897507023015844062

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item