‘হাম’ আর ‘পটহোল’ সরিয়ে লাগসই প্রযুক্তিতে মহাসড়ক নির্মান!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল রংপুর,পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে ঃ

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের রংপুর-পীরগঞ্জ অংশের ৪২ কিলোমিটার সড়কের ‘হাম’ আর ‘পটহোল’ সরিয়ে ‘লাগসই’ প্রযুক্তিতে কাজ করে সড়কটি টেকসই করা হচ্ছে। আসছে ঈদ আর বর্ষায় সড়ক সামাল দিতেই রংপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ ‘লাগসই’ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯৯১ সালে ‘সড়ক পূনর্বাসন প্রকল্প-৩’ এর (আরআরএমপি-৩) আওতায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কটি নির্মান করা হয়। সড়কটির মেয়াদও শেষ হয়েছে প্রায় ৪ বছর আগে। পাশাপাশি অধিক ওজনের মালামাল বহন, অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গর্ত আবার কোথাও কোথাও ফুলে-ফেঁপে উচু হয়ে উঠেছে। সওজ’র ভাষায় উচু অংশকে ‘হাম’ আর গর্তগুলোকে ‘পটহোল’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। কয়েক বছর ধরেই মহাসড়কটি চলাচলের যোগ্য রাখতে সংস্কারও চলছে। কিন্তু কোনভাবেই হাম আর পটহোল সরানো যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে রংপুর সওজ কর্তৃপক্ষ সড়কটি আসন্ন ঈদ ও বর্ষায় চলাচলের উপযোগি রাখতেই লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। লাগসই’র ব্যাপারে জানা গেছে, যখন যা প্রয়োজন, তা করাই হলো লাগসই। আর এ প্রযুক্তিতে সড়কও টেকসই হয় বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে এর ফলও ইতিবাচক বলে সওজ সুত্র জানিয়েছে।
সুত্র আরও জানায়, রংপুর থেকে পীরগঞ্জ সীমানার চাম্পাগঞ্জ পর্যন্ত ৪২ কিমি সড়ক রয়েছে। এ অংশের অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাতের সৃষ্টি হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। আর এ থেকে রেহাই পেতেই লাগসই প্রযুক্তিতে সড়কে কাজ করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তিতে সড়কের পুর্বের কার্পেটিং তুলে বিটুমিন মিশ্রিত পাথর মেশিনে ভেঙ্গে সড়কে দেয়ে রোলারিং করা হচ্ছে। তার উপরে নির্দিষ্ট মাপের কার্পেটিং করে নতুনের আদলে সড়ক নির্মান করা হচ্ছে। প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মেসার্স রানা বিল্ডার্স সড়কটির পীরগঞ্জের অংশে ৫ কিমি ৭’শ মিটার এবং ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ কিমি ৭’শ মিটার মেসার্স তাজ মঞ্জিল নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাগসই প্রযুক্তিতে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট, পীরগঞ্জ উপজেলার মাদারহাট, খেদমতপুর, উজিরপুর, আংরার ব্রীজ, বড়দরগা, মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ী, আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তরে, জায়গীরহাট, বলদী পুকুর পর্যন্ত সংস্কার করা হয়েছে। এখনো অনেকস্থানে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আছে। রংপুর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, মহাসড়কটি ফোরলেনে উন্নীত করতে আরও প্রায় দেড় বছর পর কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য আমরা লাগসই প্রযুক্তিতে সড়কের কাজ করে টেকসই করার চেষ্টা করছি। আসছে ঈদ-বর্ষায় সড়ক ঠিক রাখতে আমরা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ রাখার চেষ্টা চালাচ্ছি।
উল্লেখ্য, এর আগে বিগত ২০১৪ সালের এপ্রিলে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কটি সংস্কারের কাজ পায় ‘ওটিবিএল লিঃ’ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর পর্যন্ত ৭০কি.মি সংস্কারের কাজ করেছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 630315515772926134

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item