পীরগাছায় সরকারী কোয়ার্টারসহ বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য সুবিধা নিয়ে ফ্রিতে বসবাস করেন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর):
রংপুরের পীরগাছায় উপজেলা প্রশাসনের সরকারী কর্মকর্তারা বছরের পর বছর সরকারী বাসায় থাকলেও তাদেরকে ভাড়া দিতে হয় না। উপজেলা চত্ত্বরে অবস্থিত প্রথম ¤্রিেণর কর্মকর্তাদের জন্য বসবাসের জন্য থাকা একটি ভবনে গত ৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন দুই কর্মকর্তা ও এক শিক্ষিকা। ভবনটির বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য বিল ও সংস্কারের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে সরকারী কোষাগার থেকে। বরাদ্দ ছাড়াই দীর্ঘ দিন থেকে দুই কর্মকর্তা ও এক শিক্ষিকা সরকারী কোয়ার্টারে বসবাস করার ঘটনায় প্রশাসনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, প্রমোট প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা পরিষদের ভিতরে একটি আবাসিক ভবন নির্মান করা হয়। ভবনটি মহিলা কর্মকর্তাদের আবাসিক সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হলে শুরুর দিকে মহিলা কর্মকর্তারা অবস্থান করে আসছিল। পরে স্থানীয় একটি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের জন্য মহিলা হোষ্টেল হিসাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। দীর্ঘ দিন মহিলা হোষ্টেল থাকার পর নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে মহিলা হোষ্টেলের বরাদ্দ বাতিল করে উপজেলা প্রশাসন। মহিলা হোষ্টেল বরাদ্দ বাতিলের পর উপজেলা প্রশাসন কাগজে কলমে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের বসবাসের উপযোগী ভবনটি তালাবদ্ধ দেখায়। তালাবদ্ধ ভবনটিতে বরাদ্দ ছাড়াই গত তিন বছর থেকে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আয়শা আক্তার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার লাজিজা খাতুন ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মনিরা বেগম লুনা বসবাস করে আসছেন। তারা দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসলেও সরকারী কোষাগারে কোন টাকা দিতে হয়নি। বরং সরকারী কোষাগার থেকে বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করে আসছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন,উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবন গুলি দেখ ভাল ও বরাদ্দ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে হয়ে থাকে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্য বাসা বরাদ্দে অনিয়মের ঘটনা ঘটছে।
উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক সুবিধার জন্য সরকারী ৮ টি আবাসিক ভবন রয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে একটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়। ২টি আবাসিক ভবন অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাকী ভবন গুলি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যবহার করে আসলেও কর্তৃপক্ষের নিকট কাগজে কলমে তা তালা বন্ধ।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, শুধু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীর নামে বাসা বরাদ্দ রয়েছে। বাকী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আবাসিক ভবন গুলিতে বসবাস করলেও তাদের নামে কোন বাসা বরাদ্দ নেই। এদিকে একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা বাসা বরাদ্দ না নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সরকারী আবাসিক সুবিধা ভোগ করায় প্রশাসনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
বরাদ্দ না নিয়ে সরকারী কোয়াটারে থাকা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আয়েশা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রমোট ভবনে বসবাস করে আসছি। ফ্রিতে থাকার বিষয়ে বাসা বরাদ্দ কমিটি এর জবাব দিবে।
উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, প্রমোট ভবনে তিনজন থাকার কথা আমি জানি। তবে তারা বাসা বরাদ্দ না নিয়ে কিভাবে থাকে সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবির জানান,  সরকারী বাসা বরাদ্দের বিষয়ে একটি মিটিং আহবান করা হয়েছে। অনিয়ম হয়ে থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4098230853423611067

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item