নীলফামারীতে বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২৮ এপ্রিল॥
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বৈশাখে নববর্ষের উৎসব আমাদের বাঙালী চেতনার সবচেয়ে একটি বড় উৎসব। এটির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে, প্রতিটি মানুষের উৎসব, সকল ধর্মের মানুষের উৎসব, এটি হলো অসাম্প্রদায়িক চেতনার উৎসব, যে চেতনায় আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। যে চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি।
আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে আয়োজিত জেলার সাংস্কৃতিক কর্মীদের বৈশাখী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
এসময় উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক আহসান রহিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহীনুর আলম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইসরাত জাহান পল্লবী।
মন্ত্রী আরও বলেন, সেই চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে এবং উন্নত দেশের যাত্রা শুরু করেছে। আজকে নববর্ষে আমাদের সকলের প্রত্যয় হউক, প্রতিজ্ঞা হউক সমবেতভাবে একটি উন্নত দেশ গড়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করার। যারা আমাদের এই এগিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে বাধা সৃষ্টি করবে সেই বাধাকে আমরা অতিক্রম করবো সর্বোশক্তি দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন বাংলার গরীব দুখি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, সেই স্বপ্ন আমরা অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো।

এর আগে শহীদ মিনার চত্ত্বর থেকে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে চলে লাঠি খেলা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, পালকি স্থান পায়।
শিল্পীদের বর্ণিল ওই আয়োজনে আরো ছিল বাংলার ঐতিহ্যের বাদ্যযন্ত্র ঢাক, ঢোল, সানাই, লাঠিখেলা, সাপ খেলা, ঘুড়ি উড়ানো।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভাওয়াইয়া, মাটিয়ালী-ভাটিয়ালী, লোকসংগীত, জারি-সারি ও দেশাত্ববোধক গানে দর্শক মাতিয়ে দিনব্যাপি বৈশাখি উৎসব পালন করলেন সাংস্কৃতিক শিল্পীরা।
মেলার রূপে সাজানো শহীদমিনার চত্ত্বরটিতে শোভাপায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের হরেক রকম পসরার দোকান । লোক সমাগমে ভরপুর হয়ে উঠে শহীদমিনার চত্ত্বরটি। সকলে মনোযোগ সহকারে উভোগ করেন শিল্পীদের ওই উৎসব। অনেকে দোকান ঘুরে কিনেন পছন্দের বিভিন্ন পণ্য।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা গান, আবৃতি, নৃত্য পরিবেশন করেন। সুরে ভেসে আসে ‘এসোহে  বৈশাখ’, ‘আল্লাহ্ মেঘ দে পানি দে’, বিয়ের গীত ‘নয়া সালে নয়া পান, হামরা গাইমো বিয়ার গান’, ‘ধলি হামার সাজেছে রে, বিয়ার সাজে  সাজেছে রে’, ‘পারা পরশি সবায় কান্দে, কান্দে ধলির ভাইবোন’সহ গ্রাম বাংলার বিলুপ্ত প্রায় মাটিয়ালী, ভাটিয়ালী নানা গান। দর্শক শ্রোতা মনমুগ্ধকর ওই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন মনোযোগ সহকারে।
শিল্পীদের ওই বৈশাখী উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, স্থানীয় সকল সংস্কৃতিক শিল্পীদের উদ্যেগে দিনব্যাপী ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে হারাতে বসা গ্রামীণ মেলার আবহে উৎসব সাজানো হয়েছে। মেলায় দই চিড়া, পিঠা পুলি, গুড়ের জিলাপী, মাটির হাড়িতে রসগোল্লা, শিশুদের খেলনা ডুকডুকি, দোতারা, মাটির সরমজানাদীসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ১৫টি স্টল স্থান পেয়েছে। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 362136344894428150

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item