মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দপুরের প্রথম শহীদ মাহাতাব বেগ স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
https://www.obolokon24.com/2018/03/saidpur_94.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
মুক্তিযুদ্ধে নীলফামারীর সৈয়দপুরের প্রথম শহীদ এস এম মাহাতাব বেগ স্মরণে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে শহীদ মাহাতাব বেগ স্মৃতি সংসদ ওই সভার আয়োজন করে।
এতে শহীদ মাহতাব বেগ স্মৃতি সংসদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. সুজাউদ্দৌল্লাহ্ সুজা সভাপতিত্ব করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. শাহ্ মো. আমির আলী আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের সাবেক ছাত্র লীগ নেত্রী আমেনা কোহিনুর আলম, শিক্ষক রুহুল আলম মাষ্টার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, প্রকৌশলী মো. মোনায়মুল হক, সোনারায় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অশ্বিনী কুমার রায় ও আব্দুল মান্নান শাহ্ মান্নু, সাবেক যুব লীগ নেতা মহসিনুল হক মহসিন, শহীদ মাহতাব বেগের পুত্র মির্জা সালাউদ্দিন বেগ এবং ভাগিনা মো. তোফাজ্জল হোসেন প্রমূখ।
সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন শহীদ মাহাতাব বেগ স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব সৈয়দপুর তুলশীরাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জয়দেব কুমার জয়। গোটা আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন সাংবাদিক জিকরুল হক।
সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দপুরের প্রথম শহীদ হন মাহাতাব বেগ। অথচ স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছরে শহীদ মাহাতাব বেগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে কিংবা নতুন প্রজন্মকে তাঁর সম্পর্কে জানাতে নিমার্ণ করা হয়নি কোন স্মৃতিস্তম্ভ। শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় তাঁর নামে একটি গলিপথের নামমকরণ করাা হলেও আজ তা ভিন্ন নামে পরিচিতি পাচ্ছে। সরকারিভাবে তাঁর পরিবারেরও কোন রকম খোঁজখবর নেয়া হয়নি। সভায় বক্তারা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নাম শহীদ মাহাতাব বেগ নামে নামকরণের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, সৈয়দপুরের পার্শ্ববর্তী জেলা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা (তৎকালীন থানা) সাতনালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন সাহসী যোদ্ধা মাহাতাব বেগ। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ রাতে পাকসেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরা সৈয়দপুর শহরের মুক্তিকামী মানুষের ওপর আকস্মিক ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে শত শত মানুষ সৈয়দপুর শহরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আর বিদ্যূৎগতিতে এ খবরটি ছড়িয়ে পড়ে সৈয়দপুরের আশপাশের গ্রামগুলোতে। পরদিন অবরুদ্ধ মানুষদের উদ্ধারে অকুতোভয় মাহাতাব বেগ তাঁর একনালা বন্দুকসহ কিছু গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে সৈয়দপুর শহরের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে শহরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় পাকবাহিনী ও অবাঙ্গালীদের প্রতিরোধের মুখে পড়েন তারা। মূলতঃ এটিই ছিল পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর অবাঙালিদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুরে সংঘটিত প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে যোদ্ধা মাহাতাব বেগ আহত অবস্থায় ধরা পড়েন অবাঙালিদের হাতে। সে সময় তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা নিয়ে গোটা শহরে উল্ল¬াস প্রকাশ করে অবাঙালিরা। ৭১’ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রথম শহীদ হন তিনিই (মাহতাব বেগ)।
মুক্তিযুদ্ধে নীলফামারীর সৈয়দপুরের প্রথম শহীদ এস এম মাহাতাব বেগ স্মরণে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে শহীদ মাহাতাব বেগ স্মৃতি সংসদ ওই সভার আয়োজন করে।
এতে শহীদ মাহতাব বেগ স্মৃতি সংসদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. সুজাউদ্দৌল্লাহ্ সুজা সভাপতিত্ব করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. শাহ্ মো. আমির আলী আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের সাবেক ছাত্র লীগ নেত্রী আমেনা কোহিনুর আলম, শিক্ষক রুহুল আলম মাষ্টার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী, মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, প্রকৌশলী মো. মোনায়মুল হক, সোনারায় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অশ্বিনী কুমার রায় ও আব্দুল মান্নান শাহ্ মান্নু, সাবেক যুব লীগ নেতা মহসিনুল হক মহসিন, শহীদ মাহতাব বেগের পুত্র মির্জা সালাউদ্দিন বেগ এবং ভাগিনা মো. তোফাজ্জল হোসেন প্রমূখ।
সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন শহীদ মাহাতাব বেগ স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব সৈয়দপুর তুলশীরাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জয়দেব কুমার জয়। গোটা আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন সাংবাদিক জিকরুল হক।
সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দপুরের প্রথম শহীদ হন মাহাতাব বেগ। অথচ স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছরে শহীদ মাহাতাব বেগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে কিংবা নতুন প্রজন্মকে তাঁর সম্পর্কে জানাতে নিমার্ণ করা হয়নি কোন স্মৃতিস্তম্ভ। শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় তাঁর নামে একটি গলিপথের নামমকরণ করাা হলেও আজ তা ভিন্ন নামে পরিচিতি পাচ্ছে। সরকারিভাবে তাঁর পরিবারেরও কোন রকম খোঁজখবর নেয়া হয়নি। সভায় বক্তারা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নাম শহীদ মাহাতাব বেগ নামে নামকরণের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, সৈয়দপুরের পার্শ্ববর্তী জেলা দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা (তৎকালীন থানা) সাতনালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন সাহসী যোদ্ধা মাহাতাব বেগ। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ রাতে পাকসেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরা সৈয়দপুর শহরের মুক্তিকামী মানুষের ওপর আকস্মিক ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে শত শত মানুষ সৈয়দপুর শহরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আর বিদ্যূৎগতিতে এ খবরটি ছড়িয়ে পড়ে সৈয়দপুরের আশপাশের গ্রামগুলোতে। পরদিন অবরুদ্ধ মানুষদের উদ্ধারে অকুতোভয় মাহাতাব বেগ তাঁর একনালা বন্দুকসহ কিছু গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে সৈয়দপুর শহরের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে শহরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় পাকবাহিনী ও অবাঙ্গালীদের প্রতিরোধের মুখে পড়েন তারা। মূলতঃ এটিই ছিল পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর অবাঙালিদের বিরুদ্ধে সৈয়দপুরে সংঘটিত প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে যোদ্ধা মাহাতাব বেগ আহত অবস্থায় ধরা পড়েন অবাঙালিদের হাতে। সে সময় তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা নিয়ে গোটা শহরে উল্ল¬াস প্রকাশ করে অবাঙালিরা। ৭১’ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রথম শহীদ হন তিনিই (মাহতাব বেগ)।