দক্ষিণ খলেয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ২০১৮ সালে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবীতে মানববন্ধন

হাবিবুর রহমান সেলিম,পাগলাপীর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের গঙ্গাচড়া/সদর উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ খলেয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি পুনঃবহালকরণ নিমিত্তে ৫ম শ্রেণীর ৩৫ জন, ৮ম শ্রেণীর ৪৫ জন ও ৯ম শ্রেণীর ২৮ জন অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ২০১৮ইং সনের অত্র প্রতিষ্ঠান হতে এবতেদায়ী মাদরাসা সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ এলাকাবাসীরা। গতকাল ১৩ মার্চ ২০১৮ রোজ মঙ্গলবার পাগলাপীর ডালিয়া সড়কে মাদরাসার প্রধান গেটের সামনে দুপুর ১২টা হতে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এ মানববন্ধন। দক্ষিণ খলেয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম সরকার এর সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সভাপতি মাওলানা মোঃ একরামুল হক, সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সদস্য আনিছুর রহমান, আব্দুল জলিল, শিক্ষক প্রতিনিধি মকছুদার রহমান, শফিকুর রহমান, পরীক্ষার্থীদের পক্ষে ফারজানা, শাপলা, জেমি আক্তার, কারিমা খাতুন এবং অভিভাবকদের পক্ষে- ফজলার রহমান, আতাউর রহমান, রুস্তম আলী, শামসুল হক, জিল্লুর রহমান, মোঃ হারুনুর রশিদ, আজগর আলী সহ এলাকার সুধীবৃন্দ। উক্ত মানববন্ধনে সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম সরকার লিখিত বক্তব্যে বলেন দক্ষিণ খলেয়া বালিকা দাখিল মাদরাসাটি ১৯৯৪ইং সনে স্থাপিত হয়ে ০১/০১/১৯৯৬ইং সনে অনুমতি, ০১/০১/১৯৯৭ইং সনে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৭ইং সন হতে ২০০২ইং পর্যন্ত ৬ বছর যাবত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অত্যন্ত ফলাফল সন্তোষজনক। ২০০২ইং সনে বৃত্তি পরীক্ষায় একজন উত্তীর্ণ হয়। ২০০৩ইং সনে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে  আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদককে অত্র মাদরাসার কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে সদস্য হিসাবে রাখার কারণে চারদলীয় জোটে স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী লোকের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশভূত হয়ে এবং স্থানীয় প্রশাসনের উপর চাপ প্রয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য প্রদানে তৎকালীন শিক্ষ প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন এর বরাবরে প্রেরণ করেন। প্রতিমন্ত্রীর চাপ প্রয়োগে সচিব মহোদয় মাদরাসার অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকতি বাতিলসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। উক্ত নির্দেশ প্রদানে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ১৮/০১/২০০৩ইং সনে বাতিলাদেশপত্র প্রদান করেন। এমতাবস্থায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষায অংশগ্রহণ করে লেখাপড়া কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ১৮/০১/২০০৩ইং সনে বাতিল হওয়ার পর থেকে মাদরাসার অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি পুনঃবহাল করার ব্যাপারে সুপার, সচিব মহোদয় বরাবর দরখাস্তের প্রেক্ষিতে বারবার তদন্ত প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রদান করলেও চার দলীয় জোট সরকার আমলে অনেকবার হয়রানীর স্বীকারে সুপার উচ্চ আদালতে আইনানুগ শরণাপন্ন হন। ১২৫৫৫/১৫নং মামলা রুল আদেশ ৬০ দিনের মধ্যো আত্র মাদরাসার অনুমতি ও একাডেমকি স্বীকৃতি পুনঃবহালের জন্য নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। বিগত বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে বাতিল হওয়া মাদরাসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুপারের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২১/০৮/২০১৬ ইং সনে ০৩.০৭৪.০৪৮.০০.০০৯.২০১৬,০৩৮৩ স্মারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি পুনঃবহাল করণে সদয় নির্দেশনা প্রদান করেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আমলে জোটের প্রধান বিরোধী দলের হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এম.পি সাবেক রাষ্ট্রপতি মহোদয়, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বরাবর গত ২৫/০৯/২০১৭ইং স্মারক নং-০৩.০১.০০০.০৪২.৩১.০০১.১৭.৪০ তারিখে ডি.ও পত্রে অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি পুনঃবহালের জন্য সুপারিশ পত্র প্রদান করেন। কোনটিও তা এখনও বাস্তাবায়ন হয়নি। তাই অত্র মাদরাসার কমিটি/শিক্ষক/কর্মচারী/এলাকাবাসীর/ছাত্রীর অভিভাবকবৃন্দ ও মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের দাবী অত্র মাদরাসার অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি পুনঃবহাল করে ২০১৮ইং সনে পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৫ জন, অষ্টম শ্রেণিতে ৪৫ জন ও ৯ম শ্রেণিতে ২৮ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ সহ সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে দাবী জানিয়েছেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2326961212011170307

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item