পীরগঞ্জে ১০ টাকা কেজির চালের কার্ডে ১’শ টাকা উৎকোচ কিছু টাকা ফেরত পেল দরিদ্ররা, আজ তদন্ত!

মামুনরু রশিদ মেরাজুল, পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ
পীরগঞ্জে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি কার্যক্রম ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসুচী’র কার্ড বিতরনের নামে দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে এক ইউপি’র চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ১’শ টাকা করে প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নে ওই টাকা নেয়ার সময় ইউএনও গিয়ে চেয়ারম্যানকে গালমন্দ করে দরিদ্র পরিবারের মাঝে কিছু টাকা ফেরত দেন। অপরদিকে বিকেলে ২ শতাধিক মানুষ তাদের টাকা ফেরতের দাবীতে ওই চেয়ারম্যানের বাড়ীতে ভীড় জমায়।
জানা গেছে, পীরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নের ২৪ হাজার ৩৬ টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর আওতায় প্রতি কেজি চাল ১০ টাকা দরে বিক্রির জন্য কার্ড বিতরন চলছে। প্রতিটি সুবিধাভোগী পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে মার্চ ও এপ্রিল এ দু’মাস চাল ক্রয় করতে পারবেন। ওই কর্মসুচীর অধীনে উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নে ৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ১ হাজার ৬৪৬ জন কে চাল দেয়া হবে। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১’শ টাকা করে ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৬০টাকা উৎকোচ নেয়া হয়। আগামী সোমবার থেকে ওই চাল বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে। ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান মন্ডল তার পরিষদবর্গকে সাথে নিয়ে ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড প্রদানের নামে তার ভাতিজা মিলন মন্ডলসহ ৪/৫ জন মেম্বার ১’শ টাকা করে উৎকোচ নিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। দরিদ্র লোকেরা মোবাইলে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করলে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে মিলন মন্ডলসহ মেম্বাররা ইরি-বোরোর জমির মধ্যে দিয়ে ভো-দৌড় দেয়। এ সময় তারা কিছু টাকা ফেলে রেখে যায়। পরে ইউএনও ইউপি চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান মন্ডলকে গালমন্দ করে চেয়ারম্যানের হাত দিয়ে কিছু টাকা ফেরত দেন। ওই ঘটনার পর ইউএনও চলে এলে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান মন্ডলের বিছনা গ্রামের বাড়ীতে দরিদ্র পরিবারের ২ শতাধিক মানুষ তাদের দেয়া ১’শ টাকা করে ফেরতের দাবীতে অবস্থান নেয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা চেয়ারম্যানের বাড়ীতেই ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, আগে থেকেই আমাদের কাছে ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড ছিল। কিন্তু ওই কার্ড নবায়নের জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বাররা আমাদের কাছে ১’শ টাকা করে নিয়েছে। ইউএনও কমল কুমার ঘোষ বলেন, টাকা নেয়ার অভিযোগ পেয়ে টুকুরিয়া ইউনিয়ন কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনাটির সত্যতা পেয়েছি। পরে ২/১ জনকে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইয়েদুর রহমান বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর কার্ড আগেই দেয়া আছে। এ জন্য কোন টাকা লাগবে না। টুকুরিয়া ইউনিয়নে ওই কর্মসুচীর কার্ডের জন্য টাকা নেয়ার ঘটনা ঘটেছে এমন কথা আমাকে ইউএনও স্যার বলেছেন। কালকে (আজ শনিবার) আমি ঘটনাটি তদন্তে যাবো। স্বাক্ষী-প্রমান পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইউপি চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান মন্ডলকে মোবাইল ফোনে কল করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 887113419491366691

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item