আঞ্চলিক-আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা বাড়াতে চান প্রধানমন্ত্রী

 দেশের উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ লক্ষ্যে সরকার নান পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজ শনিবার খুলনা সফরে গিয়ে খালিশপুরে আইইবির খুলনা কেন্দ্রে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৫৮তম সম্মেলনের উদ্বোধন করার সময় এসব কথা বলেন তিনি।

গত ৩০ জানুয়ারি সিলেট সফরের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল, ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী এবং আজ খুলনায় যাচ্ছেন।

এই সফরে শেখ হাসিনা ২ হাজার ৪১ কোটি টাকার মোট ৯৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। বেলা তিনটায় সার্কিট হাউজ ময়দানে জনসভাও করবেন তিনি। আর এই সমাবেশের আগেই প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হবে।

শেখ হাসিনাকে বরণ করতে খুলনা আওয়ামী লীগে চলছে নানা প্রস্তুতি। শহর ছেয়ে গেছে দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায়।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচির শুরুতেই ছিল আইইবির সম্মেলনে অংশগ্রহণ। এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের আমলে নেয়া নানা উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরে প্রকৌশলীদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।

একা একা উন্নয়ন করা যায় না বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এখন বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এ বৈশ্বিক গ্রামে এককভাবে উন্নতি করা প্রায়ই দুঃসাধ্য। অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করতে হলে আন্তঃমহাদেশীয়, আন্তঃদেশীয় এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও সহযোগিতা বাড়াতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমাদের এই অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।’

‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেটি হবে ক্ষুধা- দারিদ্র,  সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ। জ্ঞান বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ। এ কাজে আপনারাই (প্রকৌশলীরা) হচ্ছেন অগ্র সৈনিক।

‘আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই। এ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপনারা পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করুন।’

সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। গত বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২৮ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের উপরে। মাথাপিছু আয় এক হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার।’

স্বাধীনতার মাসেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ভারতের সঙ্গে আন্তঃগ্রিড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, ভূটান ও নেপালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যার মাধ্যমে আঞ্চলিক জ্বালানি নিরাপত্তা বলয় গড়ে উঠবে।’

‘আমরা ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। পর্যায়ক্রমে এ আমদানির পরিমাণ এক হাজার মেগাওয়াট হবে। নেপাল ও ভূটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছি।’

‘আমরা ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প গ্রহণ করেছি। গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, আন্তঃমহাদেশীয় রেল প্রকল্প এবং এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 1302841828424685818

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item