পঞ্চগড়ে পানির অভাবে নাব্যতা হারাচ্ছে নদ-নদী

মো: তোতা মিয়া, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ে পানির অভাবে পঞ্চগড়ের পাঁচটি উপজেলার নাব্যতা হারিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদী। এইগুলো শুধু নামে মাত্র নদী।পানির অভাবে প্রতিনিয়ত পঞ্চগড়ের নদ-নদী, খাল-বিল  চরম নাব্যতা সংকটে উপনিত হয়েছে। একারনে বর্ষা মৌসুম শেষ হতে নাহতেই নদীগুলো সহ খাল-বিল, নালা প্রায় পানি শুন্য হয়ে পড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র মতে পঞ্চগড়ের চাওয়াই, বোরখা, সাও, ভেরসা, ডাহুক, সহ করোতোয়া এরকম অসংখ্য নদী প্রভাবিত। স্থানীয়দের মতে নদী খননের অভাবে নাব্যতা হারাচ্ছে প্রমত্তা নদ-নদীগুলো। অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে শাখা নদীগুলো। এককালের গহীন খর¯্রােতা নদীগুলো এখন মরা গাঙ্গে পরিনত হওয়ার পথে। এই জেলায় এরকম অনেক এলাকা জুড়ে বিশাল বিশাল চর ও অসংখ্য ছোট ছোট ডুবচর জেগে উঠেছে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় মিঠা পানির প্রায় ৬০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হতে চলেছে। এছাড়া কিছু ভূমিহীন চাষী নদীর বুকে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার অনেকে নদীর আশপাশের নদীর চর দখল করে বাড়ি ঘর তৈরি করছে। পঞ্চগড় শহরের প্রবীন ব্যক্তিরা জানান এক সময় এই নদী-নালা, খাল-বিল শাখা প্রশাখা গুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে বোয়াল, ভোদর, বলদা, পাপদা, গজার, ষোল সহ অনেক দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ পাওয়া যেত। এখন পানির অভাবে মাছতো দূরে থাক নদীগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। এই নদী দ্রুত খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবী জানান স্থানীয়রা। ভূমিহীন চাষীরা জানায়, তাদের নিজেস্ব জমি না থাকায় তারা চাষাবাদ করতে পারেনা। অপরদিকে সেচ দেওয়া পানির চেয়ে নদীর চুইয়ে আশা পানি ধান চাষে অনেক বেশি উপকারী। এতে সার ও সেচ সহ সব কিছুতেই সা¯্রয় হয় চাষীদের। তাই দনীর বুকে ধান চাষ করে কয়েক মাসের খাবার সংগ্রহ কওে তারা। এলাকার জেলেরা জানান আগে নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যেত। সেই মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এখন নদী নালা, খাল বিল পানির অভাবে মাছও পাওয়া যায় না। এখন এ পেশা পাল্টিয়ে অন্যভাবে সংসার চালাতে হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 475151591340772972

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item