নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভাল নেই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ভাল নেই আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা।  অসহায়, ভুমিহীন ও হতদরিদ্রদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পগুলো র্দীঘদিন থেকে সংস্কার না করায় সেগুলো বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে অসহায়, ভুমিহীন ,হতদরিদ্র আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ভুমিহীন,অসহায়,দরিদ্র ও অভাব অনটনে পিছিয়ে পড়া মানুষের একটু শান্তিতে বসবাস করার জন্য ১৯৯৬ ও ২০০০ সালে বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিন বাহাগিলি ঘাটের পার, বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর , ও নিতাই ইউনিয়নের বাড়ি মধুপুর গ্রামে পৃথক পৃথক ভাবে তিনটি আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মাণ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিন বাহাগিলি আশ্রয়ন প্রকল্পে (আশিগ্রামে) গিয়ে দেখা যায় ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৮০ টি অসহায়, হতদরিদ্র, ও ভুমিহীন পরিবার বাস করত। প্রতিটি পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ, টিউবয়েল ও গণশৌচাগারের ব্যাবস্থা করা হলেও বর্তমানে সেগুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী। পাশাপাশি প্রকল্পের ঘরগুলোর টিনের চালা ভেঙ্গে গিয়ে ও মরিচা ধরে সেগুলো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অসহনীয় পরিস্থিতির সুষ্টি হয়েছে। এখানে বসবাসকারীরা পাচ্ছেনা নিরাপদ পানি, পাচ্ছেনা স্বাস্থ্যস¤œত পায়খানা , পাচ্ছেনা সরকারী কোন সহযোগীতা । ফলে অনেকে অসহনীয় কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।  বর্তমানে আশ্রয়ন প্রকল্পটিতে ৩৬ টি পরিবার বাস করলে তাদের অন্যত্র যাওয়ার জায়গা না থাকায় তারা কষ্ট করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। 
বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর আশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে একই অবস্থা দেখা যায়। বড়ভিটা আশ্রয়ন প্রকল্পেও ৮০ টি পরিবারের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ টি পরিবার  বাস করলেও বাকি পরিবারগুলো ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় সেগুলোতে গরু ছাগল, হাঁস,মুরগী, পালন করছে। এমনকি কোন কোন ঘরে  কুকুর বসবাস করছে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে  (৫৬) বলেন, বাবা আমরা প্রথম যখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসেছিলাম তখন মনে হয়েছিল। আমাদের দুঃখের দিন শেষ কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা এখানে মানুষতো দুরের কথা পশুপাখিও থাকা যায়না।
বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মাধুরী রানী রায় বলেন, আমাদের কেউ কোন খোঁজ খবর নেয়না। যখন ভোট আসে তখন চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীরা ভোট নিতে আসে। ভোট হইলে আর ফিরিও দেখেনা।
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু বলেন, আমি আশ্রয়ন প্রকল্পে অনেকবার গিয়েছি। তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি। পাশাপাশি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছি।
বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান বলেন,  আমার ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো থাকার  একবারে থাকার অনুপযোগী । সেগুলো সংস্কার করার জন্য আমিও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুরোধ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মেহেদী হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য সরকারী বরাদ্দ আসলে বরাদ্দ সাপেক্ষে সেগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।



পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2247154985387715648

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item