কিশোরগঞ্জে চাঁদখানা সারোভাষা ব্রীজের নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ,হুমকির মুখে ব্রীজ

মোঃ শামীম হোসেন বাবু, কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নে বগুলাগাড়ী সারোভাষা ব্রীজের নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে  তিন কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজটি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন ব্রীজের দুপাশে ৫গজের মধ্যে প্রায় ৫০টি  মাহিন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেনা।

গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কেল্লাবাড়ি হাট ভায়া দর্জিবাড়ি, বুড়িরহাট এবং চাঁদখানা ঘাট উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যায়ে ৮ প্লাস ৮৬৫ কিলোমিটার  সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। দক্ষিন চাঁদখানা সারোভাষা গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে ও বালু ব্যাবসায়ী কাশেম তাঁর নিজের তিনটি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর সহ ভাড়া করা ২০টি মাহিন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ ট্রলি বালু সড়ক নির্মাণের কাজে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও বরবালা গ্রামের কাদের আলীর ছেলে ইব্রাহীম, বগুলাগাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হাফেজ উদ্দিন ও আব্দুল হানিফ, একই গ্রামের বদির উদ্দিনের ছেলে কিবরিয়া সহ বালু ব্যবসায়ীরা  ব্রীজের উভয়পাশে  ব্রীজের নিচে ও ব্রীজের ৫০০ গজ সীমানার  মধ্যে শত শত ট্রলি দিয়ে দিনরাত সমান তালে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। ফলে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজটি হুমকির মুখে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাঁদখানা বগুলাগাড়ী গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, কাশেম ও তাঁর অনুসারিরা প্রতিদিন শতশত ট্রলি বালু নিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রতিটি মাহিন্দ্রা ট্রলির বালু বিক্রি করছে ৩০০ টাকা ট্রলি দরে। আর বালু বিক্রির টাকা দিনশেষে ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ নেতা, সাংবাদিক, ও প্রশাসনের মধ্যে বিলি বন্ঠন করেন। আর এত করে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে ব্রীজটির নিচ থেকে যে পরিমাণ বালু সরিয়েছে তাতে আগামী বর্ষায় ব্রীজের যে কি হবে তা আল্লা জানে।
ব্রীজের দক্ষিন পাশ্ব থেকে বালু উত্তোলন কারী হানিফ ও কিবরিয়া বলেন, ভাই আমরা নিজের জমি থেকে বালু উত্তোলন করছি। আমাদের জমিগুলো ব্রীজের কাছাকাছি গত কয়েক বছর আগে আমরা সেগুলো চাষাবাদ করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে সব কাগজপত্র ঠিক করে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বালু বিক্রি করছি। এতে করে টাকাও পাচ্ছি জমিও বালুমুক্ত হচ্ছে।
ব্রীজের নিচ থেকে এবং ব্রীজের উত্তর পাশ্ব থেকে বালু উত্তোলনকারী বালু ব্যবসায়ী কাশেম বলেন, ভাই আমি যেভাবে বালু তুলছি তাতে ব্রীজের কোন ক্ষতি হবেনা। তারপরও আমি বালু বিক্রি করে যে টাকা পাই তা প্রশাসনকে ভাগ দেই।
ব্রীজের নিচ থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মেহেদী হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি । আমি এখনি ওসি সাহেবকে পাঠাচ্ছি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6184332288402550280

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item