কিশোরগঞ্জে ৪৬ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)ঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়  ৪৬ টি সরকারী  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে  প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান সহ  অফিসিয়াল  কার্যক্রম। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহে ২০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন থেকে শুন্য রয়েছে। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষক সংকটের কারনে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। 
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৭১ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৬ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  প্রধান শিক্ষক ও ২০ টি সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘ দিন থেকে শুন্য রয়েছে।  এসব বিদ্যালয়ে  দীর্ঘদিন  থেকে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য  থাকায়  পাঠদান ব্যাহত হওয়ার কারনে কাঙ্খিত ফলাফল হচ্ছেনা বলে অবিভাবকরা মনে করছেন। এছাড়াও কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধু দুই একজন শিক্ষক দিয়ে শতাধীক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে এমনো অভিযোগ রয়েছে।  এছাড়াও অফিসিয়াল কাজ ও বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হিমশিম খাচ্ছে ভারপ্রাপ্তরা।
অনেক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, অতিরিক্ত ক্লাসের চাপ ও শ্রেণীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষকরা চাইলেও ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছেননা। ক্লাশে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী থাকায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী কিছুই শিখতে পারছে না। অবিভাবকদের দাবী অনতিবিলম্বে বিদ্যালয়গুলোতে শুন্য পদ পুরন করে শিক্ষা ব্যবস্থায় গতি ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা জানান,  কোন কোন বিদ্যালয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জন শিক্ষাথী রয়েছে। অনেক সময় প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক না থাকায় শ্রেণীতে পাঠদান করতে শিক্ষকদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। পাশাপাশি শিক্ষকদের বাড়তি ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজের চাপে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
যে সব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য সে বিদ্যালয গুলো হলো, ভেড়ভেড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পানিয়াল পুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুশরত পানিয়াল পুকুর, নিতাই ছলিমের বাজার, উত্তর দুরাকুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁদখানা দুই নম্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,  রাজীব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুষনা ইউনাইটেড, রণচন্ডী কিশামত, রণচন্ডি উত্তর বাফলা,খামার গাড়াগ্রাম পুর্ব দলিরাম, মাগড়া শাহপাড়া, দক্ষিন রাজীব, দক্ষিন সোনাখুলি, চাঁখানা চরকবন, কালিকাপুর আব্দুল গফুর, উত্তর কুঠিপাড়া, পুর্ব দলিরাম গোস্বামীপাড়া, উত্তর বদী , উত্তর বাহাগিলি ডাংগাপাড়া, রাজিব পল্লী শ্রী, মুশরুত বালাপাড়া, নয়ানখাল শাহপাড়া,মন্থনা কালিকাপুর, উত্তর মেলাবর,গাড়াগ্রাম চিড়াতীপাড়া,রণচন্ডি মাঝাপাড়া, বড়ভিটা চন্দনপাঠ, কিশামত হরির ডাংগা, রণচন্ডি পাঠানপাড়া, উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী পুর্বপাড়া, মাগ্রড়া পীড় ফকিরপাড়া, কালিকাপুর মাঝাপাড়া, ধাইজান সরাকারী, মেলাবর টটুয়ার ডাংগা, বড় ডুমরিয়া মাইজালি , শিশু নিকেতন সরকারী, দক্ষিন বদি বড় ডাংগা, ও সোনাখুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪৬ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান বলেন, আগে সহকারী শিক্ষকের অনেক পদ শুন্য ছিল। কয়েক মাস আগে পুল শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ পুরন হয়ে গেছে । আর মাত্র ২০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। আর প্রধান শিক্ষকের বিষটি প্রায় চুড়ান্ত আশা করছি খব তাড়াতাড়ি এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6397913969997898773

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item