পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইলসহ পেলেই গ্রেপ্তার
https://www.obolokon24.com/2018/02/ssc_12.html
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কোনো উদ্যোগ কাজে না আসায় এবার কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে এবং কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনসহ কাউকে পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এছাড়া পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ না করলে তাকে আর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নগুলো ফাঁস হচ্ছে মূলত পরীক্ষার আগে আগে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া প্রশ্ন দেখতে কেন্দ্রের আশপাশেই শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ফোনে চোখ রাখতে দেখা গেছে।
এই প্রেক্ষিতেই রবিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের এই নির্দেশ পাঠানো হয়।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবং ‘প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশ’ নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে দুটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। যেগুলো হলো:
১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীর আবশ্যিকভাবে হলে প্রবেশ ও আসন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং ওই সময়ের পরে কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
২. পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে কিংবা পরীক্ষা কেন্দ্রর অভ্যন্তরে মোবাইল ফোনসহ কাউকে পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগেই এবার কেন্দ্র প্রধান ছাড়া কাউকে মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। আবার তিনি এমন ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, যেটা দিয়ে ছবি তোলা যায় না। সেই ফোনটিও কেন্দ্র সচিবের কক্ষে রেখে ব্যবহার করার নিয়ম।
পাশাপাশি ছাত্রদের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে ঢুকার আদেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু দুটি নির্দেশ পালনেই শিথিলতা দেখানো হচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে স্মার্টফোনে প্রশ্ন ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আটক হয়েছে বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে অভিভাবক, কলেজ ও বেসরকারি শিক্ষক, পরীক্ষার্থীও আছে।
আবার গত ৪ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের ধরিয়ে দিলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণাও এসেছে। এরপর আটক হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি। পুলিশ এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, ট্রেজারি থেকে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠানোর সময় সেটি ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করা হচ্ছে। তাদেরকে ধরতে চেষ্টা চলছে।
এরই মধ্যে প্রশ্ন ফাঁসে ব্যবহার করা ৩০০টি মোবাইল নম্বর শনাক্ত করে বন্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এদেরকে ধরার চেষ্টা চলছে।
এর মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে বাধা দিতে পরীক্ষা শুরুর সময় আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্যোগও নিয়েছিল সরকার। তবে তা পরে বাতিল করা হয়েছে।