সাধক কবি হেয়াত মামুদের রচনাশৈলী বাঙ্গালীর মনের কথা ....... পীরগঞ্জে স্পীকার

মামুনুর রশিদ মেরাজুল

: সাধক কবি হেয়াত মামুদের রচনাশৈলী বাঙ্গালীর মনের কথা। তার রচনার মধ্যে আধ্যাতিকথা ও সুফিবাদের তথ্য প্রকাশ পায়। তিনি একাধারে ছিলেন কবি ও আধ্যাতিক মনা মানুষ। তার প্রতিটি লেখা কবিতাকারে প্রকাশ পেয়েছে। যার জন্য গ্রাম গঞ্জে তার লেখনি পাঠ্য বইগুলো বাঙ্গালির হৃদয়ে স্থান করে আছে। তবে তার প্রতিটি গ্রন্থ সংরক্ষণ করে সমাজে ছড়িয়ে দিতে পারলে ব্যক্তি ও সমাজ উপকৃত হবে, কথাগুলো বলেছেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড. শিরিণ শারমিন চৌধুরী। দুই দিনের সফরে পীরগঞ্জ এসে গত শনিবার সকাল ১১ টায় পীরগঞ্জে চৈত্রকোল ইউনিয়নের ঝাড়বিশলায় সাধক কবি হেয়াত মামুদের ২৪৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রংপুরের জেলা প্রশাসক ওয়াহেদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আবু ছালেহ মো: তাজিমুল ইসলাম শামিমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঝাড়বিশলা হায়াতুল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ মওলানা আব্দুস সালেক। কবির সাহিত্য কর্ম নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাক্তন অধ্যাপক (বাংলা) বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজ, শাহ আলম এবং কবি পরিবারের সদস্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছাদিয়া আফরিন। বক্তারা কবির পৈত্রিক ভিটায় একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স এবং কবির সবগুলো বই সরকারিভাবে পুণ:মুদ্রন করার দাবী জানানো হয়। বক্তব্য রাখেন ওয়াজেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ.কে.এম ছায়াদত হোসেন বকুল ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সবুজ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সেকেন্দার আলী বিএসসি সহ অনেকে। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে প্রধান অতিথি সাধক কবি হেয়াত মামুদের মাজার জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ করেন। অপর একটি অনুষ্ঠান উপজেলার চতরা ইউনিয়নের মডেল বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ণে নারীদের ভূমিকা শীর্ষক মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইকলিমপুর নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি মমতাজ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন, সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আতিয়া বেগম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাছুদার রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা ইয়াসমিন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন পরিবারই শিক্ষার মূল স্তম্ভ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মায়েরা সংসারের নানামুখী কাজ করার পরেও শিশুদের লেখাপড়া, সেবা-যতœ চালিয়ে যেতে হয়। যার জন্য তাদেরকেও পুষ্টিকর খাবার খেয়ে জীবন-যাপন করতে হবে। এছাড়াও জনসংখ্যার অর্ধেক নারী সেজন্য তাদেরকে কর্মমুখী করার জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও সরকার গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ণমুখী কর্মকান্ডের বর্ণনায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।