সড়ক সংলগ্ন নিরান কুড়ি বায়ই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকিতে শিশুরা

মেহেদী হাসান উজ্জল ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘি ইউনিয়নে সড়ক সংলগ্ন নিরান কুড়ি বায়ই ঝুকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ঐ বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়টি ব্যাস্ততম সড়কের সাথে হওয়ায় সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুল ছুটির পর কমলমতি শিক্ষার্থীরা দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ে। এতে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঝড়ে যেতে পারে কোন কোমলমতি শিক্ষার্থীর প্রাণ এমনটাই অভিযোগ করে বলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

বিদ্যালয় সুত্রে জানাযায়, নিরান কুড়ি বায়ই ঝুকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি (১৯৮৮) সালে ৩৩ শতাংশ জমিতে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয় করন হয়েছে। ৪ জন শিক্ষক ও ৯৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কটি পুর্বে কাঁচা থাকা অবস্থায় তেমন চলাচলছিল না। পরে সড়কটি পাঁকা করন হওয়ায় উপজেলা শহর মুখি হওয়ায় বর্তমানে সড়কটি চরম ব্যাস্ততম সড়কে পরিনত হয়েছে। বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কটি উপজেলার কাজিহাল, আটপুকুরহাট, রুদ্রানী, দেশমা,জামগ্রাম সহবিভিন্ন এলাকার মানুষ চলাচলের জন্য ব্যাবহার করে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অসংখ্য ভটভটি, ভ্যান,সাইকেল, অটোরিকসা, ট্রলি, মটরসাইকেল, ট্রাক ও অনান্য গাড়ির চলাচল করে । ফলে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ঐ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিরান কুড়ি বায়ই ঝুকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায়। বিদ্যালয়ের মাঠে ছাত্র-ছাত্রীরা খেলা করতে করতে মাঠ ছেড়ে রাস্তায় চলে আসে। শিক্ষার্থীরা অল্প বয়সের হওয়ায় দুর্ঘটনার বিষয়টি বিবেচনা না করেই রাস্তার মধ্যে ছুটাছুটি করতে থাকে। তাই অসাবধানতা বশত যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

৫ম শ্রেণীর ছাত্র জাহিদ হাসান জানায়,বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর হলে আমরা নিরাপদে স্কুলের মাঠে খেলাধুলা করতে পারবো।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অশিত কুমার দাস বলেন,টিফিনের সময় ছাত্রছাত্রীদের খুব খেয়াল করে রাখতে হয়। তার পরেও কেউ আবার বল আনতে মেইন সড়কে চলে যায়। প্রাচীর থাকলে বাচ্চারা বাইরে যেতে পারবে না, কোন ঝুঁকিও থাকবেনা। ইতি পুর্বে কয়েকজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তাই সিমানা প্রাচীর নির্মান করা অতি প্রয়োজন।

অভিভাবকরা বলেন, ছেলে-মেয়েরা মেইন রোডে পাশে খোলা মাঠে খেলাধুলা করে এখানে দুর্ঘটনার আশংকা থেকেই যায়। তাই সীমানা প্রাচীরটি স্থাপন করা খুবই দরকার। সে কারনে আমরা বাচ্চাদেরকে স্কুলে পাঠিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় থাকি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোন্নাফ বলেন, সীমানা প্রাচীর না থাকার ফলে সব সময় শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি। সব সময় সতর্ক থাকার পরেও যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অন্যান্য স্কুলে সরকারী ভাবে সিমানা প্রাচির বরাদ্দ দেওয়া হলেও এই বিদ্যালয়টি সড়ক সংলগ্ন হওয়ার পরেও তা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি অনেকবার সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যাবস্থা নেয়নি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নুরুজ্জামান এর সাথে কয়েকবার কথা বলেছি তিনি সীমানা প্রাচীর নির্মানের বিষয়ে আসস্থ্য করেছেন। তবে লেখাপড়ার পরিবেশ ঠিক রাখার পাশাপাশী কমলমতি শিশুদের নিরাপত্তার জন্য বিদ্যালয়ের সীমানা প্রচীরটি নির্মান করা একান্ত প্রয়োজন।

এ দিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাসিনা ভুইয়া বলেন, উপজেলার ১০৯টি প্রাথমীক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১ম ধাপে ১৫টির সিমানা প্রাচির নির্মান সম্পন্ন হয়েছে। পুনোরায় চাহিদা মোতাবেক ২৩টির বরদ্দ এসেছে বাকি গুলো পর্যায় ক্রমে চাহিদা পাঠানো হবে। তবে ঐ রকম ঝুকিপুর্ন বিদ্যালয় গুলিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে দেখা হবে।

অপরদিকে উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান বলেন ২৩টি বিদ্যালয়ের বরাদ্দ হয়েছে টেন্ডারও দেয়া হয়েছে এ তালিকায় ঐ বিদ্যালয়ের নাম নেই তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর চাহিদা পাঠালে বরাদ্দ এলে বাকি গুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিরান কুড়ি বায়ই ঝুকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে অবগত করা হবে তিনি যেন বিষয়টি দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করেন। একই কথা বলেন বেতদিঘি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপাধক্ষ্য শাহ্ আব্দুল কুদ্দুস।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 2312921774450068118

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item