সৈয়দপুরে পল্লীতে ভয়াবহ আগুনে ৯টি পরিবারের সর্বস্ব ছাঁই

 তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার পল্লীতে এক ভয়াবহ আগুনে নয়টি পরিবারের সর্বস্ব পুঁড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। উপজেলার ৫ নম্বর খাতামধুপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আরাজি খাতামধুপুর পানিশালা গ্রামে গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার ঠিক আগ মুর্হূতে এ আগুনে ঘটনাটি ঘটে। আগুনে আনুমানিক ২৫/৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উল্লিখিত এলাকার মরহুম আব্দুল হামিদের ছেলে মো. নুর আমিনের বাড়ি থেকে আকস্মিক এ আগুনের সূত্রপাত হয়। এ আগুনের লেলিহান শিখা মুর্হূতেই আশপাশে থাকা বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই গ্রামে নুর আলম,নুর হানিফ, নুর হুদা, রবিজোন, নুর আমিন, মাজেদুল, মাহামুদ, নুর ইসলাম ও লুৎফর রহমানসহ ৯টি পরিবারে ২২টি টিনের ঘর, ঘরে থাকা আসবাবপত্র, মূল্যবান কাপড়চোপড়, ৯টি খড়ের রান্না ঘর, ধান, চাল, পাট, তামাক ও  নগদ অর্থসহ সবকিছুই চোখের সামনে পুঁড়ে যায়। অনেকে দূর থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুঁটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুন নেভাতে গিয়ে মো. নুর আমিন (৩৫) ও নুর হানিফ (৩০) নামের দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে  নুর আমিনকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  এবং নুর হানিফকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর সদস্যরা তাদের পরণে থাকা কাপড় ছাড়া কোন কিছুই আগুনের হাত রক্ষা করতে পারেনি। খবর পেয়ে রংপুরের তারাগঞ্জ দমকল বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক সর্ট সাকিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে অনুমান করা হচ্ছে।
খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জুয়েল চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে রাতেই সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন,ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসেন। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের হাতে চাল, ডাল, চিনি, লবন, টোষ্ট, মুড়ি, চিড়া, ম্যাচ ও মোমবাতি, কম্বল তুলে হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি পরিবারের মাঝে তিন বান্ডিল করে নতুন ঢেউটিন ও নগদ ৯ হাজার করে টাকা বিতরণ করা হয়।
গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে ঘটনাস্থলে গেলে আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের আহাজারি করতে দেখা যায়। এ সময় তাদের কান্নায় ও আহাজারিতে গোটা এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেন।   

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4044640403273322294

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item