রংপুরের তারাগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, পলাতক ধর্ষক সুমন

হাজী মারুফ


রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের কমর পাড়া গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বুধবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সময় ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর মা  তারাগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।

মামলার এজাহারে ওই তরুণী উলে¬খ করেন, তিনি তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কমর পাড়া এলাকায় থাকেন। বেশ কয়েক মাস আগে মোঃ সোহেল রানা সুমন নামে পাশের বাড়ী  সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সখ্যতা হয় তার। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। এরপর সুমন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত স্কুল যাওয়ার পথে তরুনী কে বার বার বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যার পর তারা বিয়ে করবে এই বলে ফুসলিয়ে মেয়ে কে বাড়ীর পাশের তামাক ক্ষেতের পাশে টয়লেট এর পিছনে নিয়ে যায় সেখানেই ধর্ষণ করে ।

সরজমিনে গেলে এলাকাবাসি মঞ্জুর আলী জানান, সোহেল রানা মাসুদ একই এলাকার মজনু হকের কলেজ পড়ুয়া ছেলে। এই সুবাদে মেয়েও নিকট আত্মীয়র মধ্যেই পড়ে। আর এই কাজ যে সে করেছে এটা সবাই জানে। তার পরিবারটিই হলো সন্ত্রাসী পরিবার। এর আগেও দুই থেকে তিন বার দুই জন মেয়ে কে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে ঐ লম্পট সুমন। কিছুই হয় নাই। আর এবারোও নাকি কিছু হবে না।

আর এক বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম জানান,খুব শান্ত প্রকৃতির ও ভদ্র মেয়ে ছিলো। ঘটনার দিন তিনি পাশের তামাক ক্ষেতের মধ্যে তার চীৎকার শুনে দৌড়ে গেলে দেখে সে পড়ে আছে তারপর সবাইকে ডেকে ঘটনাটি বললে সুমন বাড়ী থেকে সটকে পড়ে।

এব্যাপারে একাধিক গ্রামবাসী আদরী বেগম, গোলাপী বেগম তরুনীর বড় বোন,হুজুর আলী,আব্দুল হালিম জানান, এই লম্পট সুমন এর আগেও একই গ্রামের দবির উদ্দীন, আবুল হোসেনের মেয়েকে ধর্ষণ করে পরে গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বার দ্বারা ভয়ভীতি দেখিয়ে গরীব মানুষ হওয়ায় টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করে নেয়। এমনকি সুমনের বাবা ১৮ বছর আগে তার স্ত্রীকে জবহ করার অপরাধে জেলেও খাটেও পরে পারিবারিক ভাবে অবশ্য মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয় বলে জানান গ্রামবাসি। তরুনীর বড় বোন গোলাপী বেগম বলেন, সুমন এই নিয়ে তিন জন মেয়ের জীবন সর্বনাশ করলো এর কি কোনো বিচার নেই দেশে। তাই এই সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই আর যেনো এরকম লম্পট চরিত্রের কোন সুমনের জন্ম এই দেশে না হয় তার জন্য সকল কে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান তিনি। তিনি ও তার বাবা বৃদ্ধ তার মেয়ের ধর্ষণের বিচার যেনো হয় এবং সুমন কে অচিরেই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করে।

এদিকে ৮ নং ওয়ার্ড ইকরচালী কমর পাড়া এলাকার মেম্বার মোঃ রবি হোসেন জানান, এ বিষয়টির ব্যাপারে তিনি অবগত আছেন এবং তিনি নিজেই ঘটনা স্থানে গিয়েছিলেন।যেহেতু বিষয়টি নারী ও শিশু আইনের বিধায় ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তারাগঞ্জ থানার এস আই জুয়েল আলী জানান, বরাতী উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার হওয়াতে তাকে তারাগঞ্জ থানা ভিক্টিম সাপ্রট সেন্টারে রাখা হয়েছে শনিবার মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। মামলাটির তদন্ত কাজও শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে  তারাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ জিন্নাত আলী জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি,মামলা হয়েছে,মামলা নম্বর ৫ নারী শিশু নির্যাতন আইনের ধারা ৯ এর ১ তাং ১৬-২-১৮ইং। আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 8157055843512216944

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item