আমরা বিশ্বের সামনে মাথা উঁচু করে বাঁচব : প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বিশ্বের সামনে মাথা নিচু করে বাঁচতে চাই না, আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচব।

আজ রবিবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছি। আমাদের শিক্ষা হবে যুগোপযোগী। বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তনশীল। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। তাই শিক্ষাকেও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।

শিক্ষা খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই আমি লক্ষ করেছি, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার আগ্রহ কম। তাই ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু সরকার পরিবর্তন হওয়ায় তা বাদ দেওয়া হয়। আমাদের চেষ্টা, শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া। আমাদের দেশের আরেকটা সমস্যা, গবেষণায় কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয় না। আমরা প্রথম ক্ষমতায় এসে গবেষণায় বরাদ্দ দেওয়া শুরু করি। পরে নিয়মিত গবেষণায় বরাদ্দ দিয়ে আসছি, যার ফল আজ আমরা ভোগ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে দেশে বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্য, দেশে একজন মানুষও যেন নিরক্ষর না থাকেন। আমাদের দেশের মানুষকে উন্নত শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। অনেক মা-বাবা তার সন্তানদের পড়ালেখা করাতে পারেন না। তাই আমরা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করে দিলাম। বলতে গেলে শিক্ষা অর্জন একেবারে ফ্রি করে দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। ফলে মা-বাবার ওপর থেকে বই কেনার বোঝা কমেছে। এ ছাড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
দেশে ৯৬ সালে একটি মাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমরা এখন প্রতিটি জেলায় ক্রমান্বয়ে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা কৃষির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের ঘরের ছেলেরা যাতে ঘরে খেয়ে পড়াশোনা করতে পারে তার ব্যবস্থা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ছেলেমেয়েদের থেকে মেধাবী। তাদের মেধা বিকাশের চর্চা ও বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। আমরা এর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

 এ সময় সার্বিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থায় মেয়েদের উন্নতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ থাকা উচিত। আমি খেয়াল করেছি, শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বেড়েছে, তারা খুব ভালো ফলও করছে। এর জন্য আমি খুবই আনন্দিত। আসলে, মেয়েরা যখনই যে কাজ করে, খুব মনোযোগ দিয়েই করে। আমি ছেলেদের বলতে চাই, পড়ালেখায় তোমাদের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ২৬৫ শিক্ষার্থীর হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 3929644221119759712

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item