পঞ্চগড়ে অন্যের খাতা দেখে লিখতে নিষেধ করায় সিনিয়র শিক্ষককে থাপ্পর মারল পরীক্ষার্থী

মো: তোতা মিয়া, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অন্যের খাতা দেখে লিখতে নিষেধ করায় একজন সিনিয়র শিক্ষককে থাপ্পর মেরেছে এক এস, এস, সি পরীক্ষার্থী। গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার পর পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের সামনে ঘটনাটি ঘটে। শিক্ষক লাঞ্চনাকারী শিক্ষার্থীর নাম শামিমুর হাসান সাগর, সে পঞ্চগড় বি পি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং জেলা শহরের জালাসী মহল্লার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। কেন্দ্র সচিব ঘটনাটি তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। এবং পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এ নিয়ে চলতি এস, এস, সি পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, কেন্দ্রসূত্রে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চলতি এস, এস, সি রসায়ন বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রে ২০৩ নং কক্ষে বিজ্ঞান বিভাগের এস, এস, সি পরীক্ষার্থী শামিমুল হাসান সাগর, পাশে আরেক পরীক্ষার্থীর খাতা দেখে লিখছিল। এ সময় দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শক ও পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো: হকিকুল ইসলাম তাকে অন্যের খাতা দেখে লেখতে নিষেধ করে এবং পাশের শিক্ষার্থীকে কিছুটা দুরে সরিয়ে দেন। পরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই খাতা জমা দিয়ে বের হয়ে যায় সাগর। এদিকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পূর্বেই পরীক্ষার্থী সাগর, কেন্দ্রের বাইরে তার সহাপাঠি ও বন্ধুদের একত্র করে রাখে। পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় কেন্দ্রের মূল ফটকের কাছে শিক্ষক হকিকুল ইসলাম কে আটক করে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই সিনিয়র শিক্ষক হকিকুল ইসলামের গালে থাপ্পর দিয়ে পালিয়ে যায় পরীক্ষার্থী শামিমুল হাসান সাগর ও তার বন্ধুরা। এ নিয়ে কথা বললে শিক্ষক হকিকুল ইসলাম বলেন, গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্ব পালন করার সময় অন্য পরীক্ষার্থীর খাতা দেখতে নিষেধ করায়, কেন্দ্রের সামনে ঐ পরীক্ষার্থী সহ তার সহপাঠি বন্ধুরা আমাকে আটকে রেখে গালা-গালি করে। একপর্যায়ে সাগর নামে ঐ পরীক্ষার্থী আমাকে থাপ্পর মেরে পালিয়ে যায়। পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব রেখা রানী দেবী বলেন, ঐ পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জেলা প্রসাশক কে অবহিত  করেছি এবং পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পঞ্চগড়ের জেলা প্রসাশক মো: জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত এবং দু:খ জনক। আমরা বিষয়টি কঠোর ভাবে নিয়েছি। শিক্ষককে লাঞ্চিতকারী শিক্ষার্থীর ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 8755742866033651990

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item