নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি যেনো মরণ ফাঁদ

হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর মাঝিটারী এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি শুধু অনিরাপদই নয়, যেনো মরণ ফাঁদ। ফুলকুমর নদীর উপর সাঁকোটির দক্ষিণ তীরে নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের রতনপুর গ্রাম এবং উত্তরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝার ইউনিয়নের মাঝিটারী গ্রাম। সাঁকোটির আধা কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছে রতনপুর এম.ইউ উচ্চ বিদ্যালয়, রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে সোনাইর খামার আলিম মাদরাসা। এ সাঁকো দিয়েই দু’পাড়ের প্রায় ১০ গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের যাতায়াত। জীবণের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে প্রায় ১ হাজার লোক। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আয় রোজগারের একমাত্র চলাচল মাধ্যম এটি। কিন্তু একটিমাত্র ব্রিজের অভাবে অন্ধকারে নিমজ্জিত অপরপ্রান্তের বাসীন্দাগণ। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার আলো থেকেও বঞ্চিত এসব অঞ্চলের জনসাধারণ। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরে নিতেও হুমকির মুখে পড়তে হয়। সাঁকো থেকে উত্তর ও  দক্ষিণের রাস্তাটিও প্রসস্ত নয়। বাঁশঝাড়ের ভিতর দিয়ে এ রাস্তা অল্প বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এসব অঞ্চলে।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকবছর আগে এলাকাবাসীর নিজস্ব খরচে একটি বাঁশের চাটাই বিছানো সাঁকো নির্মাণ করলেও ভয়াবহ বন্যায় সেটাও ভেঙ্গে যায়। পরে শুধু একটি করে বাঁশ বেঁধে তৈরি করে আর একটি সাঁকো। যা শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নয়। যেনো মরণফাঁদ। হাাঁটার সময় দোলনার মতোই দুলতে থাকে এটি। প্রতিনিয়ত ঘটে দুর্ঘটনা। পা ফঁসকে পড়ার ভয় কাটে না পথচারীর। ফলে স্কুলে যেতে চায় না শিশু কিশোররা। এর আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পরিদর্শন করে ব্রিজ তৈরির কথা দিলেও তা কাজে প্রমাণ হয়নি, এবং এ নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না বলেও অক্ষেপ এলাকাবাসীর। অপর প্রান্তের মাঝিটারী এলাকার অনার্স পরুয়া ছাত্র লক্ষণ, রতনপুর এম.ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজল মিয়া, মোকসেদুল মোমিন, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিত্রি, ৮ম শ্রেণির লাকি খাতুন জানায়, এই সাঁকো পাড় হয়ে স্কুলে যেতে আমাদের খুব ভয় করে, বাঁশ নড়ানড়ী করায় বুক ধরপর করে, কখন জানি পরে যাই। ভয়ে অনেক সময় পড়েও যায় কেউ। এলাকার নরেশ চন্দ্র, আমজাদ হোসেন, আমিনা বেগম জানায়, ভোটের সময় আসলে সবাই ব্রিজ করার প্রতিশ্র“তি দিলেও ভোট শেষ হলেই আর মনে থাকে না এসব প্রতিশ্র“তি। শুধু ক্ষরা আসলে ব্রিজ হবে বলে বুকে ভেজা গামছাই তুলে দেয় চেয়ারম্যান-এমপিরা। কিন্তু বাস্তবে সে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। আমাদের চলাচলের খুব অসুবিধা হয়। এ বিষয়ে রতনপুর এম.ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, নদীর অপর প্রান্ত থেকে হাই স্কুল, প্রাইমারী এবং মাদরাসার প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী স্কুলে আসে। একটা ব্রিজের অভাবে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কম। ব্রিজ নির্মিত হলে আরো বেশি শিক্ষার্থী আসতো। রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যার আ.স.ম আব্দুল্লাহ আল-ওয়ালিদ মাসুম বলেন, জনসাধারণের জন্য এখানে একটি ব্রিজ খুবই জরুরি। ব্যক্তিগতভাবে একটি কাঠের ব্রিজ করে দেয়ার পরিকল্পনা আছে। তবে চেষ্টা করছি ব্রিজ করার। বরাদ্দ পেলে হয়ে যাবে। উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলগীর বলেন, এটি আমাদের প্রজেক্টে নাই। ভবিষতে হয়তবা কোন একদিন হতে পারে।

পুরোনো সংবাদ

কুড়িগ্রাম 7266149272473762114

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item