কিশোরগঞ্জে কলেজ প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীর মানবেতর জীবন

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে মাগুড়া কলেজটি প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পেড়িয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে বেতনভাতা না পেয়ে মানবেতর জীপন যাপন করছেন ওই কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা।  কলেজে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা দীর্ঘকাল বিনাবেতনে কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
কলেজ সুত্রে জানা গেছে, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ভগ্নিপতি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও নীলফামারী ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ডঃ মুহাম্মদ আসাদুর রহমান মাগুড়া ইউনিয়নে শিক্ষার আলো বিস্তারের জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১ একর ৬ শতক জমির উপর কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি প্রতিষ্টার পর ২০০২ সালে  মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী কতৃপক্ষ কলেজটিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তিসহ পাঠদানের অনুমতি দেয়। এরপর ২০০৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী কর্তপক্ষ কলেজটিকে একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান করেন। সেই থেকে শিক্ষক কর্মচারীরা বেতনভাতা ছাড়াই  কলেজটিতে শিক্ষকতা করে আসছেন। কলেজটির পরিবেশ খুব ভাল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকার শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে গেলে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কিংবা ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রংপুর জেলায় যেতে হয়। কলেজটি প্রতিষ্টার পর থেকে এলাকার ছেলে মেয়েরা বাড়ির কাছেই উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে পারছে। বর্তমানে কলেজটিতে ১৬ জন শিক্ষক ২জন অফিস সহকারী ও ৭জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বিনা বেতনে চাকুরী করে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন। এছাড়াও ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ৪ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ইহা ছাড়াও কলেজটিতে একটি বিঞ্জানাগার একটি গ্রন্থাগার রয়েছে।  কলেজটি থেকে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন সালে ৩ বার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিল।
মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হোসেন শিহাব বলেন, মাগুড়া ইউনিয়নে কলেজটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার কারনে এলাকার শত শত গরীব কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সন্তানরা বাড়ির কাছেই তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু কলেজটি এমপিও না হওয়ায় শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
মাগুড়া কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবার রহমান শাহ বলেন, কলেজটি প্রতিষ্টার কারনে  মাগুড়া ইউনিয়নে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে এখানে কলেজ না থাকায় অবিভাবকরা তাদের কন্যা সন্তানদের অল্প পড়াশুনা করেই বিয়ে দিতেন। কিন্তু কলেজটি প্রতিষ্টার পর থেকে এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে। এখান থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করে ভালভাল প্রতিষ্টানে পড়ালেকার পাশাপাশি চাকুরী করছে। তাই এলাকার কথা চিন্তা করে দিনের দিনের পর দিন বিনাবেতনে চাকুরী করে আসছি।



পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 1547081129920558065

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item