আলুখেতে ‘লেট ব্লাইট’, কৃষকরা স্প্রে নিয়ে ব্যস্ত ।
https://www.obolokon24.com/2018/01/potato.html
আব্দুল আওয়াল ঠাকুরগাও প্রতিনিধিঃ ঘন
কুয়াশার কারণে ঠাকুগাঁওয়ে আলুখেতে পচন রোগ ‘লেট ব্লাইট’ দেখা দিয়েছে। এতে
বিপাকে পড়েছেন আলুচাষিরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু
নেই।
গত সোমবার জেলা সদরের ১৬ নং নারগুন ইউনিয়নের
কহরপাড়া গ্রামে সরজমিনে কথা হয় আলুচাষি শহিদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি
এক বিঘা জমিতে কারেজ জাতের নমলা আলু লাগিয়েছি। ওই আলু বীজ করার কথা ছিল,
কিন্তু কয়েক দিনের কুয়াশায় গাছ মরে যাচ্ছে। সময়মতো ছত্রাকনাশক ওষুধ না
ছিটানোর জন্য এ অবস্থা হয়েছে।’ এ সময় একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি
দেশি জাতের আলু এক বিঘা জমিতে চাষ করেছি, আলুর গাছের বয়স এখন ৫০ দিন। আরও
২০ দিন পর আলু ওঠানো যেত। কিন্তু ঘন কুয়াশায় গাছ মরে যাচ্ছে। এখন ওষুধ
দিয়েও গাছ বাঁচানো যাবে না, তাই আশা ছেড়ে দিয়েছি। এখন যা পাওয়া যায়, তা
তুলে নিতে হবে।’
এ ছাড়া ওই দিন সোমবার ১১ নং
মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হরিনারায়নপুর মাস্টারপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,
আলুচাষি শাহিনের জমিতে ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটাচ্ছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি
দুই বিঘা জমিতে কারেজ জাতের আলু লাগিয়েছি। কয়েক দিনের কুয়াশায় পাতা পচে
যাচ্ছে। পচন রোগ ঠেকাতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে আলুখেতে ছত্রাকনাশক ওষুধ
ছিটানো হচ্ছে।’
ঠাকুরগাঁও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ
বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, এ বছর জেলায় ১৭ হাজার ৬৮৭
হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৬০৫
হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আগাম জাতের সাড়ে ২ হাজার হেক্টর জমির আলু ইতিমধ্যে
কৃষকরা বাজারে বিক্রী করেছেন।যাঁরা বাজারে আলু বিক্রয় করবেন দুই-এক দিনের
মধ্যে আলু তুলবেন, তাঁরা কীটনাষক ওষুধ ছিটাবেন না। যাঁদের আলু তোলার সময়
হয়নি, তাঁরা খেতে ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটাবেন। এ ছাড়া আবহাওয়া ভালো হলে সমস্যা
এমনিতেই থাকবে না। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।